স্বাস্থ্য
দেশে এখন
0

ডেঙ্গু ঝুঁকিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১০টি ওয়ার্ড

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১০টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুর উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। যার মধ্যে জুরাইন এলাকা রয়েছে প্রথম সারিতে। পানি নিষ্কাশনের জায়গা না থাকায় এ এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জমছে পানি আর সেই পানিতে জন্ম নিচ্ছে এডিসের লার্ভা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, খালগুলোর পানি প্রবাহ বন্ধ থাকায় বাড়ছে ঝুঁকি।

রাজধানীর জুরাইন এলাকায় বৃষ্টির জমে থাকা পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে এডিস মশার লার্ভা। এমন অবস্থায় সাদ্দাম নামের এক ব্যক্তি তার বাসার সামনে জমে থাকা পানির ভিডিও করে কাউন্সিলর অফিসে পাঠালেও মেলেনি প্রতিকার। জানালেন বৃষ্টি হলেই এমন দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসীর।

তিনি বলেন, 'একটু বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি ঢুকে যায়। পানি সহজে নামতে চায় না। এভাবে চললে আমরা থাকবো কীভাবে।'

সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ অনুযায়ী ঢাকা দুই সিটির ৯৯টি ওয়ার্ডের ১৮টি ওয়ার্ড রয়েছে উচ্চঝুঁকিতে। যারমধ্যে ঢাকা দক্ষিণের রয়েছে ১০টি এবং জুরাইন এলাকা রয়েছে প্রথম সারিতে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, জুরাইনে থাকা খালগুলোর পানিপ্রবাহ বন্ধ থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই বাসা বাড়িতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা আর বাড়ে মশার প্রকোপ।

তারা বলেন, খালের পাশে এবং প্রধান সড়কে মশার ওষুধ ছিটাচ্ছে। কিন্তু অলিগলি এবং বাসা বাড়িতে কাজ করা হচ্ছে না। একটু বৃষ্টি হইলেই পানি আটকে থাকে। মশার যন্ত্রণায় আমরা অতিষ্ঠ। দিনের বেলাতেও প্রচুর মশা। মশারি টানিয়ে ঘুমাইতে হয়।

মশকনিধনে নিযুক্ত কর্মীরা জানান, দুইদিন পর পর মশা নিধনে ওষুধ দিলেও জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের জায়গা না থাকায় কমছে না মশার উপদ্রব।

এলাকাবাসীর অভিযোগ অস্বীকার করে মশা নিধনে বিশেষ কর্মসূচি নেয়া হয়েছে বলে জানান দক্ষিণ সিটির ৫৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শফিকুর রহমান সাইজুল।

তিনি বলেন, 'রুটিন অনুয়ায়ী আমাদের লোকজন সকাল ও বিকেলে মশার ওষুধ ছিটাচ্ছে। বাসাবাড়ি, জলাভূমি সব জায়গাতেই ওষুধ দেওয়া হয়।'

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৮৫৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের।

এভিএস