যাত্রী চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে গত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বিশেষ ট্রেন চালু করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গত ৮ এপ্রিল এই ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকেই বেশ জনপ্রিয়তা পায়। যাত্রীদের চাপে বিশেষ ট্রেনের সময় দুই দফা বাড়িয়ে ১০ জুন পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এর আগেই ট্রেনটি বন্ধ করে দেয়া হলো ইঞ্জিন ও লোকোমাস্টার সংকটের কারণ দেখিয়ে।
প্রতিদিন এই বিশেষ ট্রেনে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাতায়াত করতেন ৮৭৬ যাত্রী। যাত্রাপথে ট্রেনটি থামত আটটি রেলওয়ে স্টেশনে। এতে তুলনামূলক কম খরচে যাতায়াতের সুযোগ পেতেন যাত্রীরা। শতভাগ টিকিটই বিক্রি হতো। এমন প্রেক্ষাপটে বিশেষ ট্রেনটি বন্ধ করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন যাত্রীরা। এর পেছনে বাস মালিকদের দায়ী করছেন কেউ কেউ।
একজন যাত্রী বলেন, 'বিশেষ ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়াতে খারাপ লাগছে। এটা বন্ধ হওয়ায় যাত্রীরা হতাশ।'
বর্তমানে শুধু ঢাকা থেকে কক্সবাজারে দুটি ট্রেন চলাচল করে। এসব ট্রেনের একেকটিতে চট্টগ্রামের জন্য মাত্র ১১৫ আসন নির্ধারিত রয়েছে। এ অবস্থায় যান্ত্রিক বিভাগ থেকে ইঞ্জিন ও লোকোমাস্টারের সংকট থাকার কথা জানানো হয়েছে। এজন্য কক্সবাজার বিশেষ ট্রেন ৩০ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। তবে ১২ জুন থেকে আবারও বিশেষ ট্রেন চালুর পরিকল্পনার কথা বলছে কর্তৃপক্ষ।
কক্সবাজারের স্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানী বলেন, 'প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় এই সুবিধাটা এখন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। প্রকল্পের কাজ জুন-জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হয়ে গেলে আবারও চালু করা যাবে।'
গত বছরের ১১ নভেম্বর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ১ ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন চলাচল শুরু হয়।