চলতি বছর মৌসুমের আগেই আশঙ্কাজনকহারে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। সাধারণত প্রতিবছর জুন থেকে এডিসের মৌসুম শুরু হলেও এবছর ডেঙ্গুর চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন।
চলতি বছর জানুয়ারিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৫৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৩৯ জন, মার্চে ৩১১ জন, এপ্রিলে আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৫০৪ জন। তবে মে মাসে মাঝামাঝিতেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০০ আর চলতি বছরের মৃত্যুর প্রায় অর্ধেক মৃত্যু হয়েছে এই মাসেই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরও বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। এমন অবস্থায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে নগর ভবনে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ সময় রাজউক, রিহ্যাব, মাউশি, বিজিবিসহ বিভিন্ন অংশীজন তাদের মশক নিধনে নেয়া পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
ঢালাওভাবে না বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৭৫ টি ওয়ার্ডের ডেঙ্গু রোগীর তথ্য আলাদা করে সুনির্দিষ্টভাবে দেয়ার আহ্বান জানায় ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, 'ঢাকার বাইরে থেকে এসে হাসপাতালে ভর্তি হলেই সে ঢাকার রোগী নয়। এই ধারণা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এখন থেকেই কার্যক্রম চালাতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'দশ কার্যদিবসের মধ্যে রাজউক থেকে নির্মাণাধীন ভবনের তালিকা পাচ্ছি। এ তালিকা পেলেই আমরা যৌথ অভিযান করবো। মাঠ পর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি আঞ্চলিক কর্মকর্তারাও আছেন। উনাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আছে। পূর্ণভাবে এটাকে নির্মূল করবো।'
আগামী সপ্তাহ থেকে দক্ষিণ সিটির সরকারি-বেসরকারি অফিস ও থানাগুলোতে মশক নিধন কার্যক্রম চালাবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।