৫ আগস্টের পর একে একে বেরিয়ে আসতে শুরু করে সরকারি বিভিন্ন মহলের নানা অপকর্মের নথি। সামনে আসে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের পূর্বাচলের প্লট বাগিয়ে নেওয়ার তথ্য।
রাজধানীতে স্থাবর সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী পদের ক্ষমতা খাটিয়ে পূর্বাচল নতুন শহরে প্লট বরাদ্দ নেন শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়। আর তাদের নানাভাবে সাহায্য করে যান রাজউকসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্তারা।
দুদকের অভিযোগ, শেখ হাসিনার পাশাপাশি তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কেও একই উপায়ে পূর্বাচলের ১০ কাঠার আরেকটি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। এই অভিযোগে করা মামলায় জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এ নিয়ে দুদকের আরও ২ মামলায় শেখ হাসিনাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলো ১৮ জনের বিরুদ্ধে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, পূর্বাচলে রাজউকের আবাসিক প্রকল্পে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শুধু একটি দরখাস্ত দিয়ে, শেখ হাসিনার বেআইনি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে প্লট বরাদ্দ নেন তারা। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা ও তার ছেলেসহ দুটি পৃথক মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে দুদক। এ মামলায় আসামিরা আত্মসমর্পণ ও গ্রেপ্তার না হলে, তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার প্রক্রিয়া চলবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
আসামিদের গ্রেপ্তার সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৯ এপ্রিল দিন ঠিক করা হয়েছে। এ নিয়ে দুদকের করা ৬ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।