দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদকে, পূর্বে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য জবাবদিহিতা এড়াতে সাহায্য করার সময় জনসাধারণের প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। আজিজ তাঁর ভাইয়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সামরিক খাতে কন্ট্রাক্ট পাওয়া নিশ্চিত করতে কাজ করেন এবং সরকারী নিয়োগের বিনিময়ে তাঁর ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজিজ আহমেদের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা কমেছে।
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করতে আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হলো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারি পরিষেবাগুলোকে আরও স্বচ্ছ এবং সাশ্রয়ী করতে, ব্যবসায়িক এবং নিয়ন্ত্রক পরিবেশ উন্নত করতে এবং অর্থ পাচার এবং অন্যান্য আর্থিক অপরাধের তদন্ত ও বিচারে সক্ষমতা তৈরিতে সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।