ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫ বছরের আরিয়ানের থাকতে ইচ্ছে করছে না হাসপাতালে। ছোট্ট হাতে লাগানো ক্যানোলা খুলে দেবার আকুতি তার।
আরিয়ানের মা বলেন, 'এত সপ্তাহ হচ্ছে মুখে কিছু খাওয়াতে পরছি না। এতো বেশি অসুস্থ আর শরীর দুর্বল হয়েছে যে সারাদিন ঘুমায়।'
এদিকে চতুর্থ শ্রেনিতে পড়ুয়া ১০ বছর বয়সী আনিসাও ৯ দিনের জ্বরের পর ৫ দিন হলো হাসপাতালে ভর্তি। নানি আয়েশা সিদ্দিকা নরসিংদী থেকে নিয়ে এসেছেন তাকে।
আনিসা বলেন, 'আমার ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হয়। আর হাটতে গেলে হাঁটুতে ব্যাথা করে। হাসপাতালে থাকতে ইচ্ছে করে না, বাসায় যেতে মন চায়।'
গেল কয়েকদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত ঠান্ডা জ্বর আর ডায়রিয়া বেশি কাবু করছে শিশুদের।
রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী রয়েছে ১৩ জন, যার মধ্যে শিশু ৭ জন। যেখানে যাত্রাবাড়ি, মাদারটেক, ধোলাইপার, মানিকনগরের রোগীর সংখ্যাই বেশি। প্রায় প্রতিদিনই নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে এই হাসপাতালে।
দু-এক দিনের জ্বরকে পাত্তা না দেয়াই কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে এসব রোগীদের। হুট করেই কমে যাচ্ছে প্লাটিলেট। রয়েছে অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ এবং রুচি কমে যাওয়ার সমস্যাও।
এক শিশুর মা বলেন, 'বুধবারে প্লাটিলেট পরীক্ষা করার পর ১ লাখ ১১ হাজার বলেছে। পরের দিন বৃহস্পতিবারে প্লাটিলেট কমে ৩৩ হাজারে এসে পড়েছে'
চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩২ জন। এ সময়ের মধ্যে আক্রান্ত ২ হাজার ৫৬৯ জন।