১৯৭৩ সালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সমবায় ভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটার দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকেই শাহজাদপুরসহ পাবনার বেড়া ও সাথিয়া অঞ্চলে গড়ে ওঠে শত শত দুগ্ধ খামার।
এই সব খামার থেকে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় ৫ থেকে ৬ লাখ লিটার দুধ। রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটা, প্রাণ, আড়ং, আকিজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করে। এরপর প্রক্রিয়াজাত শেষে সরবরাহ করা হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
তবে তীব্র গরমে গবাদিপশুর শরীরে দেখা দিয়েছে লাম্পি স্কিন, খুরা রোগ, জ্বর, ঠাণ্ডাসহ নানা রোগ। এর প্রভাব পড়ছে দুধের উৎপাদনে। এতে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন কমেছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ।
খামারিরা বলেন, খড়, ভূষিসহ প্যাকেটজাত গো-খাদ্যের দাম বাড়লেও দুধের দাম বাড়েনি। বর্তমানে প্রতি লিটার দুধ সর্বোচ্চ ৫০ টাকায় বিক্রি করছি। দুধের উৎপাদনও কমে গেছে, তাই প্রতিদিন ৫০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হইতেছে।
রোগ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি খামারিদের ক্ষতি থেকে রক্ষায় নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বেলাল হোসেন।
তিনি বলেন, 'দাবদাহ নিয়ন্ত্রণে গরুগুলোকে দুইবার করে গোসল করাতে হবে। সেই সাথে স্যালাইন খাওয়াতে হবে। আমরা উঠান বৈঠক ও লিফলেট বিতরণ করেছি।'
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার গরুর খামার রয়েছে। আর এই শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত লক্ষাধিক মানুষ।