দেশে এখন
0

অর্ধ কোটি টাকা বিল বকেয়া, মঠবাড়িয়া পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার কাছে ৫৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩০ টাকা বিদ্যুৎ বিল পাওনা রয়েছে পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মঠবাড়িয়া জোনাল অফিস। পৌরসভার মূল ভবন, পানি পরিশোধনাগার, বহুমুখী বাজার ও সড়ক লাইনসহ বিদ্যুৎ সংযোগের অন্তত ১১টি হিসাব নম্বর রয়েছে বকেয়া বিলের আওতায়।

এসব হিসাব নম্বরের কোনোটিতেই ২০১৫ সাল থেকে নিয়মিত বিল পরিশোধ না করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে মঠবাড়িয়া জোনাল অফিস। মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ৯টার দিকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তবে দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে কিছু বিল পরিশোধ ও আবেদনের প্রেক্ষিতে আবার সংযোগ চালু করা হয়। মঠবাড়িয়া পৌরসভা ও পল্লী বিদ্যুতের মঠবাড়িয়ায় জোনাল অফিস কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পল্লী বিদ্যুতের মঠবাড়িয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মোতালেব হোসেন বলেন, '১৭ দফা নোটিশ করার পরও অর্ধ কোটি টাকারও বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হওয়ায় মঙ্গলবার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এর পরপরই পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হারুণ অর রশিদের নেতৃত্বে ৭০ থেকে ৮০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দুটি ময়লার ট্রাকসহ আমাদের অফিস ঘোরাও করেন। পরবর্তিতে তিনি ১২ থেকে ১৫ জন নারী কর্মচারীসহ আমার অফিস কক্ষে এসে অশ্লীল আচারণ করেন।'

এ ঘটনায় তিনি মঙ্গলবার রাতে থানায় জিডি করেছেন বলেও জানান। তবে দুপুরের ২ লাখ ৯০ হাজার ৭৪ টাকা নগদ পারশোধ করে বাকী টাকা দ্রত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে পুনরায় সংযোগ দেওয়া হয় বলে জানান মোতালেব হোসেন।

পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা হারুণ অর রশিদ বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, 'সদ্য বিদায়ী পৌর প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ূম থাকাকালীন অবস্থায় ৬ মাসের বিভিন্ন সময় ৩০ লাখ ৩ হাজার ২৭৩ টাকা পরিশোধ করেছি। সংযোগ কেটে দেওয়ার পর ২ লাখ ৯০ হাজার ৭৪ টাকা নগদ পরিশোধ করেছি। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।'

এসএস