চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হজে যাচ্ছেন কাজী মো. নুরুল আবছার। মক্কা-মদিনা দেখবেন সে স্বপ্ন দীর্ঘদিনের। অবশেষে সে যাত্রার মাহেন্দ্রক্ষণ। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাতে এসেছেন স্বজনরা। সবার চোখেই খুশির আভা।
নুরুল আবছার বলেন, 'আমি চাইবো আল্লাহর কাছে যেন আমার ছেলে মেয়ে স্বাবলম্বী হয়ে যেন হজ করতে পারে আমার মতো।'
সোমবার (১৩ মে) দিবাগত রাত রাত ১০টা থেকেই দূর দূরান্ত থেকে আসতে থাকেন হজযাত্রীরা। শুরু হয় ইমিগ্রেশন, বোর্ডিং পাস, চেকআপসহ আনুষ্ঠানিকতা। হজযাত্রীদের বিড়ম্বনা কমাতে বাড়তি সেবা যত্ন ছিল বিমানবন্দরে। সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে খুশি সবাই।
একজন হজযাত্রী বলেন, 'টিকেট থেকে শুরু করে সব কিছু সুন্দর মতো হয়েছে। কোনো কিছুতে আমাদের ভোগান্তি হয় নাই।'
তবে গেল তিনবছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে হজযাত্রী কমছে চট্টগ্রামে। ২০২২ সালে ১২ হাজার, ২০২৩ সালে ১০ হাজার এবং ২০২৪ সালে এসে ৮ হাজার মানুষ চট্টগ্রাম থেকে হজ করতে নিবন্ধন করেন। মূলত ব্যয় বাড়ায় অনেকে ইচ্ছে থাকলেও হজ করতে পারছেন না বলে মত হাবের সদস্যের।
চট্টগ্রাম হাব সদস্য একজন বলেন, 'বর্তমানে হজের বাজেট দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় হজ করা সম্ভব হচ্ছে না অনেকের।'
গেলবার ১০ হাজার যাত্রীর জন্য ২৬টি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছিল চট্টগ্রাম থেকে। এবার ২২টি ফ্লাইটে হজযাত্রীদের পরিবহন করা হবে। এর মধ্যে মদিনায় দু'টি ও মক্কায় যাবে ২০টি ফ্লাইট।
এবার সরকারিভাবে সর্বনিম্ন ৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ও বেসরকারিভাবে সর্বনিম্ন ৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকায় নিবন্ধন করেছেন হজযাত্রীরা।