সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সকাল হতে মাছের বাজারে বাড়ে গৃহকর্তাদের আনাগোনা। তবে দামের চাপে ব্যাগের তলানিতে মাছ নিয়ে ফিরতে হয়েছে অনেককে।
বরিশালের পোর্ট রোডের ইলিশের পাইকারি বাজার। এই বাজার যেন সাধারণের নাগালের বাইরে। আকাশ ছোঁয়া দাম ইলিশের। সরবরাহ কম থাকায় পাইকারি মাছের বাজারে ১ কেজি ওজনের প্রতি মণ ইলিশ বিক্রি হয় ৯৫ হাজার টাকায়। আর ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের পাইকারি মণ ৪২ হাজার টাকা।
তবে এই দামের সমীকরণ মেলে না খুচরা বাজারে। সেখানে আরও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। ১ কেজির ওজনের ইলিশ কিনতে ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে ২৩৭৫ থেকে ২৪০০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে মাছ না থাকায় তৈরি হয়েছে সংকট।
ক্রেতারা বলেন, বাজারে তো ইলিশের দেখাই পাচ্ছি নাই। অন্যান্য মাছেরও দাম অনেক বেশি। মাছের বাজারে আসলেই পকেট খালি হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ তো ইলিশ মাছ কিনতেই পারছে না। ৩০০-৪০০ গ্রাম ইলিশের দাম ১ হাজার টাকার উপরে। সবার পক্ষে কিনে খাওয়া সম্ভব না।
এদিকে বরগুনায় খুচরা বাজার ঘুরে ইলিশের দেখা পাচ্ছেন না ক্রেতারা। বাজারে উধাও ১ কেজি ওজনের মাছ। তাই বাধ্য হয়েই ক্রেতারা ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কিনছেন ১৩০০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে মণ প্রতি মাছের দাম বেড়েছে ২০ হাজার টাকা। এদিকে সরবরাহ বেশি থাকলেও রুই ও কাতল মাছ ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকায়।
ইলিশের সরবরাহ সংকট চাঁদপুরের বড়স্টেশন মাছ ঘাটেও। ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকায়। যা অন্য সময় বিক্রি হয় ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা।
বিক্রেতারা বলেন, মাছের দামটা সাধ্যের মধ্যে থাকলে সবাই কিনে খাইতে পারে। ঘাটে মাছ না থাকার কারণেই দামটা বেশি। আবার মাছের সরবরাহ যখন বাড়বে, তখন দাম কমে যাইতে পারে।
এদিকে চড়া দামের কারণে চট্টগ্রামে মাছ না কিনে বাড়ি ফিরেছেন অনেক ক্রেতা। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিকেজি রুই বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকায়। কাতল ৩৮০ থেকে ৫০০ আর পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়।
স্বস্তি নেই ময়মনসিংহের মাছের বাজারেও। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মাছ কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। মাছের বাজারের এমন লাগামহীন পরিস্থিতিতে সরকারি নজরদারি বাড়ানোর বিকল্প নেই বলছেন ক্রেতারা।