দিনব্যাপী অত্যাধুনিক সোনার জাহাজের মাধ্যমে শনাক্তের পর শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। দুর্ঘটনার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজ বলবানের মাধ্যমে কর্ণফুলী নদী থেকে টেনে তোলা হয় প্রশিক্ষণ বিমানটি।
উদ্ধারের পর দেখা যায় দুমড়ে-মুচড়ে গেছে বিমানটি। তবে সবচেয়ে বেশি বিধ্বস্ত হয়েছে সামনের অংশ। আগুনে পুড়ে যায় ককপিট।
এরপর ঘটনাস্থলে আসেন বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে।
চট্টগ্রাম জহুরুল হক ঘাঁটির স্টাফ পাইলট উইং কমান্ডার শাখাওয়াত আনোয়ার বলেন, 'বিমান বাহিনীর প্রধানের নির্দেশনা অনুযায়ী দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।'
উদ্ধারের পর বিধ্বস্ত বিমানটি পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের জেটিতে নেয়া হয়। হস্তান্তর করা হয় বিমান বাহিনীর কাছে।
এর আগে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় আগুন লেগে যায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান ওয়াই এ কে ১৩০ এ। প্রচণ্ড গতিতে চোখের পলকে সেটি পড়ে যায় কর্ণফুলী নদীতে। সেসময় বিমানটিতে থাকা দুই পাইলট প্যারাসুট দিয়ে লাফিয়ে পড়েন নদীতে।
ঘটনার পর পরই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। যোগ দেয় নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, ডবুরি দল ও ফায়ার সার্ভিস। তবে তার আগেই মাঝি মাল্লারা ২ পাইলটকে উদ্ধার করে। এর মধ্যে স্কোয়াড্রন লিডার অসীম হাসপাতালে নেয়া পথে মারা যান। আর উইং কমান্ডার সোহানকে চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।