আজ সকালে জেলার বাঘাইছড়ির রুপকারী ইউনিয়নের বড়াদম মুসলিম ব্লক এলাকায় মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে মারা যান বাহারজান। এ সময় একটি গরুও মারা যায়।
রুপকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জেসমিন চাকমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এছাড়া দুপুরের দিকে সাজেক ইউনিয়নের লংথিয়ান পাড়ায় বজ্রপাতে মারা যান তোনিবালা ত্রিপুরা।
রাঙামাটি শহরের সিলেটিপাড়া এলাকায় সকালে কাপ্তাই হ্রদে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে আহত হন নজির আহাম্মেদ। পরে স্থানীয়রা তাকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শওকত আকবর খান জানিয়েছেন, হাসপাতালে আনার আগেই নজির আহাম্মেদ নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তবে তার শরীরে বজ্রপাতের আঘাতের সদৃশ কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
এদিকে বজ্রপাতে বাঘাইছড়িতে আরও চারজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা হলেন পার্থ চাকমা (৫৫), পেট্রো চাকমা (৪৫), রবীন্দ্র চাকমা (৬৫), তৃণা চাকমা (৩৫)।
বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘বাঘাইছড়িতে বজ্রপাতে নিহত বাহারজানের দাফনের জন্য তার পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আহত চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা এখন সুস্থ।’
বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার জানিয়েছেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আহতদের বিষয়েও খোঁজ-খবর নেয়া হয়েছে।