দিনমজুর হিসেবে কাজ করতে করতে যুবক লতিফ মিয়া এখন বৃদ্ধ। কখন গরম, কখন ঠান্ডা বা দেশের সার্বিক আবহাওয়ার খবর কি সে বিষয়ে কখনোই ওয়াকিবহাল হয়নি সে।
তবে এবারের গরম আর সংসার চালানোর চাপ দুইয়ে মিলে ক্লান্ত এই ষাটোর্ধ্ব মানুষটি। বললেন, রোদের উত্তাপে কষ্ট বেড়েছে কয়েকগুণ।
লতিফের মতন রাজধানীতে হাজার হাজার খেটে-খাওয়া মানুষের পরিশ্রম ভারি করেছে গরমের তীব্রতা। সারাদিন ঘাম জড়িয়ে উপার্জন করা সামান্য অর্থ দিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হয়। সেই সাথে গরমের নতুন খরচে কপালে চিন্তার ভাজ।
একজন দিনমজুর বলেন, 'পয়সার অভাবে ওষুধ আনতে পারছি না এই গরমে ঠান্ডা লেগেছে। কিছুই করতে পারছি না।'
আরেকজন বলেন, 'আমরা আছিই গরমের মধ্যে সারাদিন কাজ করতে হয় গরমে আবার বাসায় গিয়েও গরম। কিন্তু এই গরমে কাজ করেও তেমন বেতন পাই না।'
এক মাসের সময় ধরে চলা মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহের প্রকোপে বেশি বিপাকে পরেছেন মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ। গরমের তীব্রতায় টিকতে না পেরে অনেককে দেখা যায় বড়ভবন বা গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিতে।
একজন বলেন, 'এতগরম মনে হচ্ছে আগুনের বাতাস মুখে এসে মারতেছে। যার ফলে গাছের নিচে এসে বসা।'
এদিকে চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে বৃষ্টির সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হবে এ বৃষ্টিপাত।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, 'সারা বাংলাদেশের তাপমাত্রা আপাতত যে অবস্থা তাতে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। তবে ২ থেকে ৭ মে ব্রজসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।'
তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, ভৌগোলিকভাবে এপ্রিল ও মে মাস বাংলাদেশের জন্য উষ্ণতম হওয়ায় বৃষ্টির পর আবার বাড়বে তাপমাত্রা।