আজ (শনিবার, ২৭ এপ্রিল) দুপুরে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তর জেলা বাস মালিক সমিতির মহাসচিব মঞ্জুরুল আলম।
অভিযোগ করে তিনি জানান, চুয়েট শিক্ষার্থীদের বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের প্রতিবাদ, সড়কে পরিবহন ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা, পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ চার দফা দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
মঞ্জুরুল আলম বলেন, 'সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের পর আমরা নিজেরা পকেট থেকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছি। তার পরও শিক্ষার্থীরা আমাদের দুটি বাসে অগ্নিসংযোগসহ তিন বাস ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিষয়টি নিয়ে সমাধান হওয়ার পরও তারা বাস পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা সম্পদ ও শ্রমিকের নিরাপত্তা চাই।'
তিনি বলেন, 'ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল (রবিবার) ভোর ছয়টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের আহ্বান করছি।'
গত ২২ এপ্রিল চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কে বাস মোটরসাইকেল সংঘর্ষে চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওইদিন একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবির বেশ কয়েকটি দাবি তাৎক্ষণিক মেনে নেওয়া হয় এবং সরকার ও পরিবহন মালিকরা নিহত দুই শিক্ষার্থীসহ আহত শিক্ষার্থীকে ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্ত নেন।
তবে সব দাবি মেনে নিতে হবে এমন ঘোষণায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে চুয়েট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা ফের আরও একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ৯ মে পর্যন্ত চুয়েট বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়।