শুক্রবার দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে সকাল ১০টায় একযোগে বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে এ পরীক্ষা। ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় এ বছর অংশ নিয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০৮ জন প্রার্থী।
পিএসসির নির্দেশনা অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রবেশ করেন পরীক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সময়ের পর প্রত্যেকটি কেন্দ্রের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সরেজমিনে রাজধানীর কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখা যায়, প্রত্যেকটি কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি করে কেন্দ্রে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়।
সকালে রাজধানীর কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন পিএসসি চেয়ারম্যান।
পরিদর্শন শেষে মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, 'বিসিএস পরীক্ষায় কোনো রকম অনিয়ম ও অসৎ সুযোগ নিতে দেওয়া হবে না। বিসিএস পরীক্ষা হওয়া থেকে রেজাল্ট প্রকাশের সব কার্যক্রম এক বছরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা আছে।'
২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ৩ হাজার ১৪০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
পিএসসি জানিয়েছে, ৪৬তম বিসিএসে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ দেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। যেখানে বিসিএস সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন সুযোগ পাবেন। এর পরে শিক্ষা ক্যাডারে ৯২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এছাড়া প্রশাসনে ২৭৪ জন, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, পরিবার পরিকল্পনায় ৪৯, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্তে ৬৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
নতুন পদসৃষ্টি বা পদবিলুপ্তি, পদোন্নতি, অবসরগ্রহণ, মৃত্যু, পদত্যাগ অথবা অপসারণজনিত কারণে শূন্য পদের সংখ্যা পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানিয়েছে পিএসসি।