এ সময় হাস্যোজ্জ্বল রাণীকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে করমর্দন করতে দেখা যায়। পরে রাজা, রাণী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সেখানে একটি সৌজন্য বিনিময় পর্ব হয়।
মূলত থাইল্যান্ড সফরের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশন ইউএন-এসক্যাপের ৮০তম অধিবেশনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় তিনি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বানও জানিয়েছেন। বাংলাদেশ জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘নিউ এজেন্ডা ফর পিস’ কে সমর্থন করে বলেও মন্তব্য করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতেও সেখানে কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'রোহিঙ্গারা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে যেন স্থায়ীভাবে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে। এটা অবশ্যই আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। তাদের সংকটের উৎস মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও মিয়ানমারেই রয়েছে।'
তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও শিশু বাংলাদেশে পালিয়ে এলে মানবিক কারণে বাংলাদেশ তাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেয়।
এ দিন সাইডলাইনে জাতিসংঘ ও এসক্যাপের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। এরপরই মূলত রাজপ্রসাদে রাজা ও রাণীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে চান বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক সফরে ২৪ এপ্রিল সেখানে গিয়েছেন। ২৯ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।