টিকিট সংগ্রহের দীর্ঘ সারিই বলে দেয় সরকারি হাসপাতলের চিকিৎসায় কতখানি আস্থা রাখছে জনগণ। আকাশচুম্বী ওষুধের দামের কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা সরকারি হাসপাতালে আসতে অনেকটা বাধ্য হচ্ছেন। সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে মাত্র ৫ টাকার টিকিটেই মেলে চিকিৎসা সেবা। রোগ নির্ণয়ের টেস্টেও থাকে সাশ্রয়ী মূল্য। সেই সঙ্গে পুরোপুরি বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যায়।
এক রোগীর অভিভাবক বলেন, ‘মেয়েকে দেখে ডাক্তার ওষুধ লিখে দিয়েছেন। পরে ওষুধের কাউন্টার থেকে বিনামূল্যে ওষুধ নিয়েছি।’
![](https://images.ekhon.tv/vlcsnap-2024-04-17-11h50m36s866.webp)
হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে ওষুধ দেয়া হচ্ছে। এখন টিভি
এই সুবিধা যেমন স্বস্তি দিয়েছে রোগীদের, অন্যদিকে সেবা দিতে চিকিৎসক ও নার্সরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন। বহিঃবিভাগে দৈনিক প্রায় ১৫শ' রোগী আসেন। এতে একজন চিকিৎসককে দৈনিক প্রায় ১৫০ থেকে ১৭০ জনকে চিকিৎসা দিতে হয়।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার তৌহিদা সিদ্দিকা রিয়া বলেন, ‘সরকারি ছুটির পরদিন হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি থাকে। এসব দিনে দুইশো’র বেশি রোগী দেখতে হয়।’
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. ওয়াসিম বারী জয় বলেন, ‘স্বল্প আয়ের মানুষ এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। আর কম টাকায় সেবা পেয়ে রোগীরাও সন্তুষ্ট।’
সরকারি হাসপাতালে এতো রোগী আসার কারণ হিসেবে সরাসরি স্বীকার না করলেও ওষুধের দাম বৃদ্ধির একটা প্রভাব থাকতে পারে বলে মনে করেন কর্মকর্তারা। তবে কারণ যাই হোক, মানুষের এই আস্থার প্রতিদান দিতে বদ্ধপরিকর তারা।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, বাজারে যে ওষুধের দাম ১৭ টাকা সে ওষুধটি হাসপাতালে থেকে ফ্রি দেয়া হচ্ছে। এই দামি ওষুধ বাইরে থেকে না কিনে স্বাভাবিকভাবেই যে কেউ হাসপাতাল থেকে সংগ্রহের চেষ্টা করবেন।
![](https://images.ekhon.tv/DUST-2.webp)
হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণে গাফিলতি। এখন টিভি
তবে ১৯৬২ সালে তৈরি এ হাসপাতালের বহিঃবিভাগ অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ। সেই সঙ্গে হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণে পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীদের অনেকটা গাফিলতি দেখা গেছে। যদিও পরিচ্ছন্নতা খাতে প্রতিবছর পৌরসভাকে ১৪ লাখ টাকা পরিশোধ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।