যেকোনো রোগে আক্রান্ত হলে মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তের ভরসা সরকারি হাসপাতাল। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে এমন দীর্ঘ সারি নিত্যদিনের। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় দীর্ঘ অপেক্ষার পরও সেবা না নিয়েই ফিরে যেতে হয় রোগীদের।
দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতালটির সার্জারি, মেডিসিন, গাইনি, অর্থোপেডিক্স এবং চক্ষু বিভাগের ২৭টি পদের বিপরীতে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য। চিকিৎসক সংকটে যেকোনো রোগের চিকিৎসাপত্রই দিচ্ছেন একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। আর জরুরি বিভাগ সামলাচ্ছেন কয়েকজন মেডিকেল অফিসার। এছাড়াও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট, নার্সসহ বিভিন্ন বিভাগে আছে জনবল সংকট।
ভুক্তভোগীদের একজন বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, তাই সরকারি হাসপাতালে এসেছি। যেন অল্প খরচে হয়ে যায়। এখন রিপোর্ট করানোর জন্য যদি বাইরের হাসপাতালেই যেতে হয়, তাহলে সরকারি হাসপাতালে এসে আমার লাভ কী?’
হাসপাতালটিতে ভর্তি প্রায় তিনশো রোগী। এছাড়া বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন চারশো থেকে পাঁচশো রোগী। প্যাথলজি সেবা, গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন বন্ধ থাকার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ওষুধ পাচ্ছেন না রোগীরা। বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে রোগীদের। এই সুযোগে বেড়েছে দালালের দৌরাত্ম্য।
সিভিল সার্জন বলছেন, চিকিৎসক ও জনবল সংকটের বিষয়ে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের যতটুকু সংকট আছে সেটার জন্য যদি আমরা কয়েকজন মেডিকেল অফিসার পাই তাহলে আমাদের সংকট থাকতো না এবং আমরা আরো ভালো চিকিৎসা দিতে পারতাম।’
চিকিৎসা সেবায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের এমন সংকট কাটাতে কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি রোগী ও স্বজনদের।