আজ (মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে দ্বিতীয় দিনের উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করে ডিএসসিসি।
তবে সেখানকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের পর দোকান ভাঙার কথা থাকলেও তাদের না জানিয়ে কোনো রকমের প্রস্তুতি ছাড়াই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া আগুনের ঘটনায় সাহায্য হিসেবে সরকার, বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে যে অনুদান এসেছিলো তা এখনো তারা বুঝে পাননি। এছাড়া ১০ তলা ভবন নির্মাণের সময় ব্যবসায়ীরা কী করবেন সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
এদিকে সমিতির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ব্যবসায়ীদের আগেই চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিলো।
গত বছরের ৪ এপ্রিল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রাজধানীর সবচেয়ে পুরনো ও জনপ্রিয় পাইকারি কাপড়ের মার্কেট বঙ্গবাজার পুড়ে যায়। পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজারের আধুনিকায়ন করে সেখানে ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসসিসি। সেখানে ১.৭৯ একর জায়গায় ১০ তলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। একইসঙ্গে বঙ্গবাজারের নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণিবিতান রাখা হবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১০ তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে গ্রাউন্ড ফ্লোর ও বেজমেন্ট ছাড়াও মোট আটটি ফ্লোর থাকবে। এই ভবনে থাকবে তিন হাজার ৪২টি দোকান। প্রতিটি দোকানের আয়তন হবে ৮০ থেকে ১০০ স্কয়ার ফুট। ভবনটিতে থাকবে ৮টি লিফট। এছাড়া ভবনটিতে গাড়ি পার্কিং, খাবারের দোকান, সমিতির অফিস, নিরাপত্তাকর্মী এবং সেখানকার কর্মীদের আবাসন ব্যবস্থা থাকছে। ভবনটি নির্মাণে ৩৩৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
বঙ্গবাজারের পুরাতন মার্কেটটি মূলত বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, আদর্শ ইউনিট, মহানগর ইউনিট ও গুলিস্তান ইউনিট নিয়ে গঠিত ছিল। গত বছরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মার্কেটগুলো পুরোপুরি পুড়ে হয়। ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে তিন হাজার ৮৪৫ জন ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে।
এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৩০৩ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এতোদিন পর্যন্ত পুড়ে যাওয়া মার্কেটের ফাঁকা স্থানে শামিয়ানা ও ছোট-ছোট চৌকি বসিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা