তাৎক্ষণিক টাকার প্রয়োজনে এটিএম বুথ শহরের মানুষের অন্যতম ভরসা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় ভবনের নিচে অসংখ্য এটিএম বুথের দেখা মেলে। যার নিরাপত্তায় থাকেন বিভিন্ন সিকিউরিটি কোম্পানির নিরাপত্তাকর্মী।
নিরস্ত্র নিরাপত্তাকর্মীরা কতটুকু নিরাপত্তা দিতে পারেন এটিএম বুথে? রাজধানীতে বিভিন্ন সময়ে দুবৃর্ত্তদের অতর্কিত হামলার শিকার হোন তারা।
বুধবার ভোরে এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারান হাসান মাহমুদ নামের এক নিরাপত্তারক্ষী। ভোরে রাজধানীর প্রগতি সরণির মাইশা চৌধুরী টাওয়ারে মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে প্রবেশ করে ভেন্ডিং মেশিন ভেঙ্গে টাকা লুট করার চেষ্টা করে। এ সময় বুথের নিরাপত্তারক্ষী বাধা দিলে তাকে খুন করে পালিয়ে যায় তারা।
স্থানীয়রা জানায়, মধুমতি ব্যাংকের ঐ বুথটি একটু ভেতরে হওয়ায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল। ঈদের ছুটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার তাগিদ তাদের।
তারা বলেন, বুথ থাকবে খোলা জায়গায় কিন্তু এটা অনেক ভিতরে। এখানে লেনদেনের কোন নিরাপত্তা নাই। যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকতো তাহলে এ ঘটনাটা করতে পারতো না। রাতে পুলিশ নিরাপত্তা বাড়ানো উচিত।
যদিও পুলিশ বলছে, ঈদের ছুটিতে ফাঁকা রাজধানীর নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ডিএমপির উপ কমিশনার রিফাত রহমান শামীম বলেন, 'এটা নিরাপদ একটা এলাকা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। একটি ঘটনা দিয়ে পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বিচার করা যাবে না। আমরা যথেষ্ট তৎপর রয়েছি।'
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরাঞ্চলে এটিএম বুথের সংখ্যা ৯ হাজার ৫২০টি। ক্যাশ ডিপোজিট মেশিন-সিডিএম'র সংখ্যা ২২৮টি এবং ক্যাশ রিসাইকেল মেশিন-সিআরএম'র সংখ্যা ৩ হাজার ১০৯টি।