এবারের রেলযাত্রায় প্লাটফর্মের চিত্রটা যতটা শুনশান, স্বস্তির চিত্র আঁকানো, তার বিপরীতে বাইরে এমন বাকবিতণ্ডা আর নিরাপত্তা বাহিনীর সাইরেন একেবারেই অস্বস্তির।
অনলাইনে টিকিট কাটতে হবে, দাঁড়িয়ে মাত্র ২৫ শতাংশ টিকেট, রেলের এতসব নিয়ম না জানা কিংবা মোবাইল, ল্যাপটপের মত প্রযুক্তি না থাকা নিম্মআয়ের মানুষের অসহায় অভিব্যক্তি নানা রকম প্রশ্নই তুলেছে। বিমানবন্দর রেলস্টেশনের প্লাটফর্মের বাইরে যেখানে স্ট্যান্ডিং টিকেট বিক্রি হচ্ছে সেখানে দুই শিশু কন্যা, স্ত্রী আর ব্যাগ-বস্তা নিয়ে এভাবে বসে পড়েছেন চুয়াডাঙার সুজন নামের এক ব্যক্তি। সে ভেবেছিলেন সন্ধ্যার খুলনাগামী চিত্রা ট্রেনে যাবেন।
সুজন বলেন, 'স্টেশনে আসছি বিকাল ৪ টায়। লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও এখনও টিকিট পাইনি। সন্ধ্যা ৭ টায় চিত্রা এক্সপ্রেস চলে গেছে। টিকিটও দেয়নি।'
সুজনের মত প্রান্তিক মানুষেরা বলছে, কম ভাড়ায় যাওয়া যায় বলে রেলই তাদের অবলম্বর। যদিও রেলে চোখে তারা 'অনাকাঙ্ক্ষিত' যাত্রী, তারা শুধুই চান টিকিটধারী যাত্রীদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য সেবা নিশ্চিত করতে।
একজন যাত্রী বলেন, 'এখানে যারা আছে এখন সবাই গরিব মানুষ, ট্রেনের আশায় থাকে। কিন্তু ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে। বলেছিল সাড়ে ৮ টায় টিকিট দেবে। কিন্তু সে সময় পার হয়ে গেছে অনেক আগে এখনও টিকিট দেয়নি।'
স্টেশনের কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা তো টিকিট যার ভ্রমণ তার, এটা নিশ্চিত করতে এ কাজ করছি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাইলে আমাদের কঠোর হতেই হবে।'
৬ষ্ঠ দিনের এরকম রেলযাত্রায়ও কমিউটার, আন্তঃনগর লোকাল মিলিয়ে ৭০ জোড়া ট্রেন যাচ্ছে বিভিন্ন গন্তব্যে। দু'একটি কমিউটার ট্রেন আধা ঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টা বিলম্ব করলেও আন্তঃনগর ছিল সময়মত।
এদিকে শেষমুহুর্তের ঈদযাত্রায় সাভার, চন্দ্রা, গাজীপুরের সড়কে দেখা যানজট। ট্রাকে করেও বাড়ির দিকে রওনা হয়েছেন অনেকে
তবে সব মিলিয়ে ব্যতিক্রম ছবি দেখা গেছে সদরঘাটে। ঈদযাত্রার শেষ দিকে ঢাকার প্রধান নদী বন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যেন ফিরে পেয়েছে হারানো জৌলুস। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ৬ষ্ঠ দিনে ১২০টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।