মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের সড়কে চারদিন আগের বৃষ্টির পানি এখনও জমে থাকতে দেখা গেছে। জমে থাকা পানিতে মশা ও পোকামাকড় জন্ম নিচ্ছে। এছাড়া নাগরিকদের চলাচলেও ভোগান্তি হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলেন, ‘এখানে সামান্য বৃষ্টি হলে হাঁটু সমান পানি হয়ে যায়। আর সিটি করপোরেশনের কোন উদ্যোগ নেই। মশার খুব ভয়াবহ অবস্থা, এতে আমাদের শঙ্কা বাড়ছে।
মুগদা এলাকাটি এখনও অনুন্নত। শহরের প্রান্তে হওয়ায় এলাকাটিতে চোখে পড়ে কচুরিপানা ভরা জলাশয়, পতিত জমি ও নোংরা পরিবেশ। যা কিউলেক্স মশার জন্মানোর উপযুক্ত পরিবেশ।
এলাকাবাসী বলেন, ‘দিন-রাত মশার কামড়ে আমরা অতিষ্ঠ। বাসা-বাড়ির আশেপাশে ময়লা পানি জমে থাকে, যেখানে প্রচুর মশা হয়। মশা দিনেও কামড়ায়, রাতেও কামড়ায়।’
ওয়ার্ডের সীমানা ঘেঁষে মান্ডা খাল। যার একপ্রান্ত বন্ধ হয়ে আছে ময়লা-আবর্জনায়। যাদের বাসা-বাড়ি খালের আশেপাশে তাদের যন্ত্রণা আরও বেশি। এর মধ্যে নাগরিকদের অভিযোগ, মশক নিধনে সিটি কর্পোরেশনের যথাযথ উদ্যোগ নেই।
ওয়ার্ডবাসীর অভিযোগের সঙ্গে একমত কাউন্সিলর। কার্যকর ওষুধ সরবরাহে সিটি কর্পোরেশনকে আহ্বান জানান ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম ভাট্টি। তিনি বলেন, ‘মশার ওষুধের সঠিকভাবে বিতরণ এবং কার্যকর করার চেষ্টা করছি।’
আসছে ডেঙ্গু মৌসুমে এডিসের উৎপত্তিস্থল নিধনে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে জনগণকে সচেতন হতে হবে। তা নাহলে মৃত্যুঝুঁকিতে থাকবে নগরবাসী।