দেশে এখন
থানচি ও আলীকদমে ব্যাপক গোলাগুলি, আতঙ্কে স্থানীয়রা
বান্দরবানে গতরাতে (বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল) দুই দফায় থানচি ও আলীকদমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। চলমান উত্তেজনায় চরম আতঙ্কে স্থানীয়রা। যার প্রভাব পড়েছে স্থানীয় অর্থনীতিতে, ব্যাংকে কমেছে লেনদেন।

গতরাতে মুহুর্মুহু গুলির শব্দে আবারো কেঁপে ওঠে দুর্গম উপজেলা থানচি। রাত সাড়ে আটটা থেকে একটানা দেড় ঘণ্টা গোলাগুলি চলে থানা ও আশেপাশের এলাকায়। এরপর মধ্যরাতে আরেক দফা হামলা হয় আলীকদমের পুলিশ চেকপোস্টে। রাতভর বিভিন্ন এলাকায় চলে গোলাগুলি। বারবার এমন হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বান্দরবানে। সরকারের কাছে নিরাপত্তা দাবি করেন এখানকার বাসিন্দারা।

স্থানীয় একজন বেলন, 'আমি এখন খুব আতঙ্কে আছি। আমাদের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। আমরা অতিনিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা চাই সরকার আমাদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক।'

এ অবস্থায় বিপর্যস্ত এখানকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। বন্ধ ব্যাংক, অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও কমেছে লেনদেন। দোকানপাট, হাটবাজার সব জায়গায় বেচাকেনা থমকে যাওয়ায় বিপাকে ব্যবসায়ীরা।

একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'এরকম ঘটনার পর আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা খুবই খারাপ। আমাদের জীবনেরও নিরাপত্তা নেই এখানে। আগে পাহাড়িরা এসে পণ্য কিনতো। এখন তারাও আসে না। আমরা সরকারের কাছে আমাদের নিরাপত্তা চাই।'

এ অবস্থায় রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি ও আলীকদমের মতো দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সড়কে বাড়তি নিরাপত্তা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আতঙ্কে সড়কপথে এসব এলাকায় যাত্রী ও পণ্য পরিবহন অনেকটাই কমেছে।

এমএসআরএস