বক্তব্যের শুরুতেই চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের কথা স্মরণ করে আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন প্রধান উপদেষ্টা। বলেন, নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ এখন বৈশ্বিক নাম।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের অফুরন্ত সুযোগ এবং ধারণার কথা তুলে ধরে বিদেশী বড় বড় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
বিদেশী বড় বড় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এসময় চাকরি প্রার্থী না হয়ে তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বৈশ্বিক একটা নাম। শুধু নিজের ব্যবসার জন্যই নয়, বরং বিশ্বকে পরিবর্তন করতে বাংলাদেশে আসুন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগের অফুরন্ত সুযোগ এবং ধারণা আছে। বিনিয়োগকারীরা তাদের ব্যবসার মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বকে পরিবর্তন করে দিতে পারেন।’
বক্তব্যের পর বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা। এর আগে বিনিয়োগের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন সরকার প্রধান।
এর মধ্যে বিদেশী বিনিয়োগ ক্যাটাগরিতে বিকাশ, স্থানীয় বিনিয়োগে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, টেকসই ক্যাটাগরিতে ওয়াল্টন এবং উদ্ভাবনী ক্যাটাগরিতে ‘ফেব্রিক লাগবে’ এ পুরস্কার পেয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশের বাণিজ্যে অবদান রাখায় কোরিয়ান ব্যবসায়ী হি হাক সুনকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের পুরো আয়োজন সম্প্রচার করা হয় ইলন মাস্কের স্টার লিংকের মাধ্যমে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হলো স্টার লিংকের।