ঈদে অতিথি আপ্যায়নে সেমাই কিংবা সেমাইয়ের স্বাদে ঈদ শুরুর রেওয়াজ অনেকদিনের। ফলে প্রতিবছর ঈদের আগে চাহিদা বেড়ে যায় সেমাইয়ের। আর চাহিদার কথা মাথায় রেখে সরবরাহ বাড়ান দোকানদাররা। এবারও ব্যতিক্রম নয়। তবে গতবছরের তুলনায় সব ধরনের সেমাইয়ের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
বাজারের খোলা লাল সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে। আর প্যাকেটজাত ২০০ গ্রাম ওজনের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলেন, বনফুলের সেমাই ৫০ আর খাতুনগঞ্জের খোলা সেমাই ৭০ টাকায় বিক্রি করতেছি। গতবারের তুলনায় বাংলা সেমাই কেজিতে ১০-১৫ টাকা বাড়ছে। কিন্তু লাচ্ছা সেমাই বাড়ে নাই। এবার রমজানে সেমাইয়ের চাহিদা কম।
বেড়েছে সেমাই রান্নার উপাদান কিশমিশ ও বাদামসহ আনুষঙ্গিক অন্য পণ্যও। খুচরা বাজারে কিশমিশ বিক্রি হচ্ছে ৫২০-৭০০ টাকা কেজিতে। আর চীনা বাদাম বিক্রি হচ্ছে ১৬০-২০০ টাকায়। তবে স্থিতিশীল রয়েছে সেমাই রান্নার প্রধান উপকরণ চিনির দাম। বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। আর প্যাকেটজাত চিনি কিনতে গুনতে হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৪৫ টাকা।
এক বিক্রেতা বলেন, কিশমিশের দাম সামান্য একটু বাড়তি আছে। ঈদের পর কমে যাবে।
ঈদকে সামনে রেখে বাজারে সেমাইয়ের সরবরাহ বাড়লেও বেচাবিক্রি এখনও গতবছরের তুলনায় কম বলে দাবি দোকানিদের।