সামনে ঈদ, বাড়ছে গরম। দুয়ে মিলে জমজমাট ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার। পোশাকের সাথে, গৃহস্থালির অতি প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী কিনতে শোরুমে ছুটছেন ক্রেতারা। পণ্যের বিচিত্রতা, গুণগত মান, আর কম দামের কারণে ইলেকট্রনিক্স বাজারের বড় অংশই এখন দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের দখলে।
গরমের কারণে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ফ্রিজের। চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত উপজেলা রাঙ্গুনিয়ায় ওয়ালটন শোরুমে দেখা মিললো বেশকজন ক্রেতার। গ্লাস ডোরের আকর্ষণীয় ডিজাইন, সেই সাথে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া। ফ্রিজের দরজায় ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে চালানো যায় টিভি বা ইন্টারনেট। দামও সাধ্যের মধ্যে। এছাড়া গরম বাড়ায় ফ্যান, চার্জার ফ্যান, এসিসহ নানা পণ্যের চাহিদা বেড়েছে।
ক্রেতারা বলেন, 'বিভিন্ন ধরনের কোয়ালিটিফুল জিনিস কম দামে পাওয়া যাচ্ছে এবং ভালো সার্ভিস দিচ্ছে।'
আরেকজন বলেন, 'ওয়ালটন বাংলাদেশি পণ্য হিসেবে সব থেকে সেরা।'
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ইলেকট্রনিক্স পণ্যে এসেছে বিচিত্রতা। দেশীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করছে রাইস কুকার, টি-পট, ল্যাপটপ, রাউটার, শেভিং রেজারসহ শত রকমের পণ্য। বিক্রেতারা জানান, গ্রাম পর্যায়ের এসব পণ্যের চাহিদা বাড়ছে দিনদিন। বিদেশ থেকে আনার বদলে এখন দেশে এসেই এসব পণ্য কিনছেন প্রবাসীরা।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ওয়ালটনের শোরুমের স্বত্বাধিকারী লোকমান হাওলাদার বলেন, 'বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের ওলাটনের পণ্য যাচ্ছে। ওয়ালটনের পণ্যের মান আগে যেরকম ছিল তার থেকে এখন আরও বেটার হয়েছে। মানুষের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে।'
ক্রেতা আকর্ষণে ওয়ালটনের ননস্টপ মিলিয়নিয়ার অফারসহ নানা সুবিধা, আকর্ষণীয় ছাড়, কিস্তি ও ই-পেমেন্ট সুবিধার কারণে বাড়ছে গ্রাহক। এছাড়া সচেতন অনেকেই এখন বিদেশের বদলে দেশীয় পণ্য কিনছেন। গুণগত মান ও বিক্রয়ের পর গ্যারান্টি, ওয়ারেন্টি সুবিধা থাকায় আস্থা বাড়ছে ভোক্তাদের।
রাঙ্গুনিয়ার ওয়ালটন শোরুমের প্রোপাইটর মো. জাবেদ বলেন, এখন ৫ হাজার টাকা দিয়েও ওয়ালটন শোরুম থেকে পণ্য কেনা যাচ্ছে। কিস্তিতে দিচ্ছে। নগদ পেমেন্টে প্রচুর ছাড় রয়েছে।
বিক্রেতারা জানান, রমজানে গ্রাহকের হাতে বাড়তি টাকা আসায় বিক্রিও বেড়েছে ৩০-৩৫ শতাংশ। বেচাকেনার এ চাপ থাকবে ঈদের আগ পর্যন্ত। সে হিসাবে শোরুমে পণ্য এনেছেন তারাও।