রোববার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে ঝালকাঠির বাজারগুলোয় কোন ধরনের মুরগিই পাওয়া যায়নি। মুরগি না কিনতে পেরে হতাশ হয়ে ফিরে যান ক্রেতারা।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পাইকারদের কাছ থেকে ব্রয়লার মুরগি কিনতে হচ্ছে ১৯৫ টাকা কেজি দরে। তাই নির্ধারিত দামে মুরগি কিনতে না পারায় বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাজারের দোকানগুলোয় কোন ধরনের মুরগি পাননি ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা জানান, লেয়ার ও সোনালী মুরগিও নির্ধারিত দামে কিনতে না পারায় বিক্রি বন্ধ রেখেছেন তারা। প্রশাসনের নির্ধারণ করে দেয়া দামে মুরগি বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে বলেও অভিযোগ তাদের।
এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্রয়লার মুরগি ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল। হঠাৎ করে বাজারে মুরগি বিক্রি বন্ধ করায় বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। মুরগি কিনতে গিয়ে না পেয়ে খালি হাতে ফিরেছেন অনেক।
খামারিরা জানান, মুরগির খাবার ও ওষুধের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। এদিকে শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে। তাই কম দামে মুরগি বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে তাদের।
ঝালকাঠি কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাঠ ও বাজার পরিদর্শক আব্দুল মতিন বলেন, 'খামারি পর্যায়ে উৎপাদন খরচ পর্যালোচনা করে খুচরা বাজারে ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। এর মধ্যে মুরগির দামও নির্ধারণ করা হয়েছে। তাদের নির্ধারণ করে দেওয়া দামেই পণ্য বিক্রি করতে হবে। এর বেশি দামে বিক্রি করলে ওই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাজারের এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে না পারলে দেখা দিতে পারে বেহাল চিত্র। তাই দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণের কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।