সোনালি আঁশ পাটের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার ঐতিহ্য, অর্থনীতি। প্রধান অর্থকারী এ ফসলের জৌলুস কমতে থাকে ৯০ এর দশকে, যখন দেশে দেশে সিনথেটিক ও প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার শুরু হয়। তবে প্রাকৃতিক পণ্য হিসেবে বিশ্বব্যাপী এখন চাহিদা বাড়ছে পাটপণ্যের। গত অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্যে রপ্তানি আয় হয় ৯১ কোটি ২০ লাখ ডলার।
পাট উৎপাদন বাড়াতে, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের চাকা ঘুরছে আবার। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এবার বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে বন্ধ থাকা ২০টি পাটকল। প্রথম পর্যায়ে ৬টি পাটকলের বাণিজ্যিক উৎপাদন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় পাট দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে, এ খাতে বিশেষ অবদান রাখায় ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেন সরকার প্রধান।
বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: এখন টিভি
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাট শিল্প বড় অবদান রাখছে দেশের অর্থনীতিতে। দেশিয় পণ্য হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও ভূমিকা রাখছে পাট খাত। তাই পাটের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
পাট পণ্যের বহুমুখী উৎপাদনের মাধ্যমে বিদেশে নতুন বাজার খোঁজার আহ্বান জানান সরকার প্রধান। বলেন, পাট রপ্তানিতে প্রণোদনা দেয়া হবে।
এসময় পাট মিল মালিকদের আরও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'লিজ নেয়া পটকলগুলো সরকারের নজরদারিতে থাকবে।'
এ সময় ১৪ থেকে ১৬ মার্চ তিনদিনব্যাপী, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বহুমুখী পাটজাত পণ্য প্রদর্শনী ও মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। মেলা প্রাঙ্গণে দেশিয় উদ্যোক্তাদের তৈরি নানা পণ্যের পসরা ঘুরে দেখেন সরকার প্রধান।