তবে জলদস্যুদের সাথে এখনও বাংলাদেশ যোগাযোগ করতে পারে নি কিংবা জলদস্যুরাও বাংলাদেশের কারও সাথে এখনো যোগাযোগ করে নি বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জরুরি বৈঠক করে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দফতর ও এজেন্সি প্রধানরা। যেখানে ছিলেন মার্চেন্ট জাহাজ মালিক ও অফিসার্স এসোসিয়েশনও। বৈঠকে কীভাবে ২৩ নাবিক ও ক্রুকে নিরাপদে রেখে জাহাজ উদ্ধার করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক শেষে নৌ পরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক জানান, যেহেতু জাহাজটি নোঙর করা হয়েছে তাই দ্রুতই জলদস্যুরা যোগাযোগ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম) রিয়ার এডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম জানান, জাহাজটি নিরাপদ জায়গা থেকেই ভারত মহাসাগর অতিক্রম করছিলো। কোন হাইরিস্ক এলাকা থেকে জাহাজটি যাচ্ছিলো না বলে অতিরিক্ত নিরাপত্তা রাখার প্রয়োজন হয় নি।
নাবিক ও জাহাজ উদ্ধারে ইতিমধ্যেই সরকার তৃতীয় পক্ষের সাথেও আলোচনা শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
এর আগে সকাল ৬ টায় সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল থেকে ২০ মাইল দূরে ছিল জাহাজটি। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো'র (আইএমবি) মাধ্যমে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স এসোসিয়েশন। লোকেশন ম্যাপ অনুযায়ী, স্থলভাগ থেকে জাহাজটি বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল।
গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এস আর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে জানা যায় ভারত মহাসাগরে জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে।
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা নাবিকদের মধ্যে চট্টগ্রামের বাসিন্দা আছেন ১১ জন। বাকিরা ফেনী, নোয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার। আক্রান্ত নাবিকদের সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এস আর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা।
জাহাজটি ছাড়িয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে এস আর শিপিং। এজন্য সরকার ও আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।