বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে একটি স্মার্ট এয়ারলাইন্স হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পুরুষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায় সমানভাবে কাজ করে চলছে বিমান বাংলাদেশের নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
দক্ষতা আর পেশাদারিত্বের অসামান্য অবদান রাখা বিমানের নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিশ্ব নারী দিবসে প্রথমবারের মতো একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালনা করলো সকল নারী ক্রুদের দ্বারা। যে ফ্লাইটের পাইলট থেকে শুরু করে গ্রাউন্ড স্টাফ ছিলেন নারী৷
বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা-দাম্মাম রুটে সকল নারী ক্রু (ককপিট ও কেবিন ক্রু) সমন্বয়ে একটি ফ্লাইট বিজি-৩৪৯ পরিচালনা করা হয়েছে। এ ফ্লাইটের ক্রুদের ব্রিফিং, চেক-ইন কাউন্টার, ফ্লাইট কভারেজ, কেবিন ক্রু এবং ককপিট ক্রু ছিলেন নারী। এ ফ্লাইটে পাইলট হিসেবে ফ্লাইট পরিচালনা করেন বিমানের সিনিয়র নারী ক্যাপ্টেন আলিয়া মান্নান ও ফার্স্ট অফিসার ফারিহা তাবাসসুম।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক প্রশাসন একজন নারী, এছাড়া মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা, মহাব্যবস্থাপক গ্রাহক সেবা নারী। বিমানে রয়েছে ১৫ জন অভিজ্ঞ নারী পাইলট যা পুরুষ ও নারী পাইলটদের আন্তর্জাতিক গড় ৬% এর প্রায় দ্বিগুণ (১০.৪)।
বিমানে রয়েছে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ ৩৪৫ জন নারী কেবিন ক্রু। এছাড়া গ্রাউন্ড স্টাফ, নারী প্রকৌশলী, নারী প্রকৌশল ইন্সট্রাক্টরসহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সকল শাখায় রয়েছে নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বিমানের নারী পাইলট, কেবিন ক্রু, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সমাজের সকল নারীদের অনুপ্রেরণা যোগায়, সত্য প্রমাণ করে এ বছরের নারী দিবসের প্রতিপাদ্যকে।