আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল থাকলে উন্নয়ন হয় উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘মানুষের মাঝে শান্তি ও স্বস্তি ফিরে এসেছে।’
বুধবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দরবারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনে চৌকস বাহিনী র্যাব। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে চাঞ্চল্যকর ঘটনার উদঘাটন ও বিশেষ দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করে আসছে র্যাব। বর্তমানে বাহিনীর মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন।
এ বছর সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্লোগান ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট র্যাব’। দরবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাহিনীটির বিভিন্ন পর্যায়ের হাজারও সদস্য। এছাড়া ভার্চুয়ালি যোগ দেন ১৫টি ব্যাটেলিয়ানের সদস্যরা।
বাহিনীটির ভূয়সী প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে চায় সরকার। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গি দমনে সাহসী ভূমিকা রেখেছে র্যাব। সন্ত্রাস দমনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন হয়েছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।’
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা মানুষের নিরাপত্তা দেয়, তাদের বিরুদ্ধে অন্য দেশের নিষেধাজ্ঞা গ্রহণযোগ্য নয়। নিষেধাজ্ঞা আমরাও দিতে পারি, সে অধিকার আমাদেরও আছে। আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে হবে।’
এ সময় তিনি মানুষের অধিকার নিশ্চিতে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাস দমনের জন্য র্যাবকে ধন্যবাদ জানান সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। র্যাবের মহাপরিচালক স্বাগত বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিযর সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে র্যাব ফোর্সেসের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী র্যাব সদর দপ্তরে পৌঁছলে র্যাবের একটি সুসজ্জিত চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়।