ব্যবসার সুবাদে প্রায় ১৫ বছর ধরে ঢাকা থাকেন নোয়াখালীর আশিক। স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন বেইলি রোডের একটি বাসায়। কয়েকদিন আগে মালয়েশিয়া থেকে আশিকের দুই বন্ধু ঢাকায় আসে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাদের পরিবারের সদস্যদের খাওয়ানোর জন্য দুই সন্তানসহ মোট ৬ জন বেইলি রোডের একটি রেস্টুরেন্টে যান।
তাদের সাথে আশিকের যোগ দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু পৌঁছাতে দেরি করায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান আশিক। তবে তার স্ত্রী নাজিয়া ও দুই সন্তান আয়ান ও আয়াত দগ্ধ হয়ে মারা যান।
পরে নিহতদের মরদেহ নোয়খালীতে নেয়া হয়। জুমআ’র নামাজের পর নোয়াখালী পৌরসভার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদেরকে দাফন করা হয়। একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই ঘটনায় নোয়াখালী সদর উপজেলা ও সেনবাগ উপজেলায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে পুড়ে যাওয়া ভবনে থাকা কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন দুই ভাই মেহেদি ও ঈসরাফিল। তাদের মধ্যে উন্নত জীবনের আশায় মেহেদী পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন বিদেশে। সেজন্য পাসপোর্ট করাতে শুক্রবার নিজ বাড়ি টাঙ্গাইলে ফেরার কথা ছিলো। কিন্তু প্রাণঘাতী আগুনে পুড়ে বাড়ি ফিরলো মেহেদীর নিথর দেহ।
মেহেদির ছোট ভাই ঈসরাফিল বলেন, ‘উপরের দিকে আমরা যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু কিছু লোক বললো উপরের দিকে আরও বেশি সমস্যা। পরে ভাই আমাকে বলে তুই উপরে যা; আমি নিচ দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করি। আমি উপরে চলে যাই আর সে নিচ থেকে আর বের হতে পারেনি। সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মারা গেছে।’
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে আগুন লাগে। সাততলা ভবনটির বেশিরভাগ অংশজুড়ে রেস্টুরেন্ট ছিলো।