ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
নিষেধাজ্ঞার প্রথমদিনে জেলেশূন্য মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী। ঘাট থেকে ছেড়ে যায়নি মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার। সব ধরনের বেচাকেনা বন্ধ থাকায় মাছঘাটে এখন সুনশান নীরবতা।
একজেলে বলেন, 'সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা আমাদের ভালোর জন্যই। মাছ বড় হইলে আমাদেরই সুবিধা হইবো। এখন সরকার যদি আমাদের চাল-ডাল দেয় তাইলে আমরা চলতে পারতাম।'
জাটকা সংরক্ষণ ও মাছের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ভোর থেকে অভিযান চালাচ্ছে জেলা মৎস্য বিভাগ। এরমধ্যে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার দায়ে আটক হয়েছে ৯ জেলে। এসময় ৪ হাজার মিটার অবৈধ জালসহ ৩টি কাঠের নৌকা জব্দ করা হয়।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'এই অভয়াশ্রমে যদি আমরা জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে পারি তাহলে জাটকাগুলো বড় ইলিশে রুপান্তরিত হবে। আর এতে আমাদের ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা পূরনের পাশাপাশি জেলেরাও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ইলিশ আহরণ করতে পারবে।'
জাটকা ধরা বন্ধে নদীতে টহল দিচ্ছে কোস্টগার্ডের সদস্যরা
ভোলায় প্রায় আড়াই লাখ মানুষ নদী ও সাগরে মাছ ধরে জীবিকার নির্বাহ করে। এর মধ্যে নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩০০ জন। তার বিপরীতে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের জন্য ৮৯ হাজার টন ভিজিএফ এর চাল বরাদ্দ এসেছে।
মধ্যরাত থেকে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকায় মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশসহ টাস্কফোর্সের সদস্যরা তৎপর রয়েছে।
জাটকা রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপের কথা জানান চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান। বলেন, 'বিভিন্ন জায়গায় আমাদের লোকজন সার্বক্ষণিক টহলের দিচ্ছে। আমাদের ৭০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে এখন পর্যন্ত কোন মাছ ধরার সংবাদ আসে নাই।'
এ বছর চাঁদপুরে ৪০ হাজার জেলেকে নিষিদ্ধকালীন ও এর আগে পরের ৪ মাস ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হবে।।