ফুলপুর উপজেলার চর আশাবর গ্রামের বাবলু স্ত্রী শিলা ও তাদের দশ বছরের সন্তান সাদমানকে নিয়ে ময়মনসিংহের সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া গ্রামে যাচ্ছিলেন। স্বজনের লাশ দেখতে গিয়ে নিজেরাই লাশ হয়ে গেলেন। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়কে তারাকান্দার আলালপুরে ঘটে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসা শেরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে ফুলপুর থেকে যাত্রী নিয়ে আসা সিএনজি অটোরিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে হলে একই পরিবারের তিনজন সহ সাতজনের মৃত্যু হয়। এদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে সিএনজি চালক আলামিনের পরিবার এখন নিঃস্ব।
স্বজনরা বলেন, ‘সকালে খাওয়া-দাওয়া করে বের হইছে। পরে শুনি সে মারা গেছে।’
দুর্ঘটনায় নিহত সিএনজি চালকের স্বজনদের আহাজারি
নিহতদের উদ্ধারে এলাকাবাসীর পাশাপাশি অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, 'সিএনজি বাসকে সাইড দিতে চায় না। এখানে সিএনজি’র দোষে দুর্ঘটনা হইছে।'
ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. মাসুদ সরদার বলেন, ‘রাস্তা ভালো হওয়ায় প্রায় সকল গাড়ি দ্রুতগতিতে চলে। আর বিশেষ করে সিএনজিগুলো বেপরোয়া গতিতে চলে, কোন যানবাহনকে সাইড দিতে চায় না।'
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে মরদেহ দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে অর্থ সহযোগিতার পাশাপাশি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ।
দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে বাসটি ভাঙচুর করে। পুলিশ বাসটি জব্দ করেছে।। তবে চালক ও সহযোগী পলাতক রয়েছে।