দেশে এখন

চীন-বাংলাদেশ উদ্যোগে সোলার পার্ক সিরাজগঞ্জে

বাংলাদেশ ও চীন যৌথ অংশীদারিত্বের প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্র সিরাজগঞ্জে ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পার্কের কাজ প্রায় শেষ। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরের এপ্রিলে উৎপাদিত বিদ্যুৎ যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে।

উত্তরের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত সিরাজগঞ্জ জেলা। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে ইকোনমিক জোন ও বিসিক শিল্প পার্কের কারণে এ জেলায় বাড়ছে শিল্পের সম্ভাবনা। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু রেল সেতু ও উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ চলছে। যা শেষ হলে এশিয়ান হাইওয়েসহ বিভিন্ন করিডোরে যুক্ত হবে এই অঞ্চলের মহাসড়ক ও রেলপথ।

বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহার কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ও চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে ২১৪ একর জায়গায় গড়ে উঠছে সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পার্ক।

যেখানে কাজ করছেন দেশি-বিদেশি ৪ শতাধিক প্রকৌশলী ও দক্ষ শ্রমিক। যমুনার তীরে সারিবদ্ধ সাড়ে ২৭ হাজার পিলারে বসানো হচ্ছে সোলার প্যানেল। পাশাপাশি কন্ট্রোল বিল্ডিং, অফিসার ডরমেটরি, রেস্ট হাউজ, নিরাপত্তা ভবনসহ অন্যান্য কাজও শেষ পর্যায়ে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৬৫ শতাংশ। আসছে এপ্রিলের মধ্যে সব কাজ শেষ করে এখান থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদুৎ সরবারহের প্রত্যাশা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লাম এন্টারপ্রাইজের প্রজেক্ট ম্যানেজার মাসুদুর রহমানের।

তিনি বলেন, 'এটা এককালীন ইনভেস্টমেন্ট। অন্যান্য পাওয়ার প্ল্যান্টে যেমন অনেকভাবে ইনভেস্ট করতে হয় এবং তার আলাদা খরচ আছে কিন্তু এটার খরচ খুবই কম। এ এনার্জি নতুন করে তৈরি হবে। নতুন করে আর কোনো ইনভেস্ট করতে হবে না। আশা করি এপ্রিলের মধ্যেই এর কাজ সম্পূর্ণ শেষ হবে।'

২০২২ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া ৮৭.৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সিরাজগঞ্জ সোলার পার্ক প্রকল্পের যৌথ মালিকানায় রয়েছে নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ও চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন। সিরাজগঞ্জ ছাড়াও পাবনা ও কুড়িগ্রামসহ কয়েকটি জেলায় সোলার পার্ক স্থাপনের মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজ করছে তারা।

বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম বলেন, '৫০০ মেগাওয়াটের পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি আরও ৫০০ মানে সর্বমোট ১ হাজার মেগাওয়াট এ কোম্পানির মাধ্যমে নবায়ন করা সম্ভব হবে।'

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা হেনরী বলেন, 'আমরা চেষ্টা করছি এই সোলার প্ল্যান্ট যদি আর একটা বাড়ানো যায় তাহলে আরও ভালো হবে। সে বিষয়ে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।'

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর