দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রথমবারের মতো সংসাদদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সাংসদ চয়ন ইসলাম। আগামী ৫ বছরে সরকারের পরিকল্পনা জানতে চান তিনি।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিগত ১৫ বছরে সবক্ষেত্রে সফলতা অর্জিত হয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় আগামী পাঁচ বছরেও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সকল ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে এ দেশের ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়েছে এবং নির্বাচনে আমাদের জয়ী করে দেশ সেবার সুযোগ দিয়েছে। দেশের আপামর জনগণের অর্থনীতির উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন এসডিজি বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।'
আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এলসি খোলার নামে অনেক অর্থ দেশে ফেরত আসেনা। ব্লুমবার্গের মূল্য তালিকার রিপোর্ট অনুযায়ী মনিটরিং এর মাধ্যমে এলসি খোলা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
তিনি বলেন, 'ডলারের সংকট আগে যথেষ্ট ছিলো। তবে এখন আগের মতো নেই। আমদানি-রপ্তানির ব্যাপারে আমরা মনিটরিং সিস্টেম বাড়িয়েছি। অনেক সময় এলসি খোলার নামে যতোটা অর্থের দরকার হয় তার চেয়ে বেশি দিয়ে খুলালেও সেই টাকাটা ফেরত পায় না। যে কারণে প্রত্যেকটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জিনিস কিনার আগে ব্লুম বার্গের প্রাইসলিস্ট মনিটর করে তারপর এলসি খুলতে দেওয়া হয়।'
কৃষিজমি রক্ষা করতে সরকারে যথেষ্ট সচেতন। তিন ফসলি জমি নষ্ট করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান সরকার প্রধান। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের শিল্প কারখানা গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
সরকার প্রধান আরও বলেন, 'কোনো তিন ফসলি জমি কেউ নষ্ট করতে পারবে না। যদি কেউ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিবো। যত্রতত্র যেন শিল্প গড়ে না ওঠে। আর যদি শিল্প গড়ে ওঠে সেখানে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎসহ কোন সুবিধা তারা পাবে না। এছাড়া আমরা কূপ খননের মাধ্যমে নতুন গ্যাস পেয়েছি। সেটা উত্তোলন করতে কিছু সময় লাগবে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাবে ধনী দেশের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে। তাদের বাজার সংকুচিত হওয়ায় রপ্তানির অর্ডার কমছে। তবে এ সংকট দূর করতে বহুমুখী পণ্য বাজারজাত করতে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।