দেশে এখন
0

'দুই মহাসড়কে ৩০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা কমবে'

সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামাতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় চার হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে সরকার। যার মধ্যে সড়কে অত্যাধুনিক ব্যবস্থাপনা, হাসপাতাল সংস্কার, অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু ও দুর্ঘটনার তথ্য আদান-প্রদানে কল সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

এর মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার কমে আসবে বলে আশাবাদী সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সেতু ভবনে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রী।

প্রতিদিন সড়কে প্রাণ ঝরছে গড়ে ১৪ জন মানুষের, এই তথ্য সরকারি সংস্থা বিআরটিএ'র। ৩৬৫ দিনের হিসেবে প্রাণহানি পাঁচ হাজারের বেশি। যদিও সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মতে এই সংখ্যা প্রায় আট হাজার।

গেল ১৫ বছরে দেশের মহাসড়ক প্রশস্তকরণ, এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, উড়াল সড়ক ও সেতুসহ নানান উন্নয়ন প্রকল্প হয়েছে। তবুও সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামছে না। সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের জিডিপির প্রায় ৫ দশমিক ১ শতাংশ ক্ষতি হয়। বিশ্বব্যাংক মনে করে, সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশে স্থায়ী প্রতিবন্ধকতার বড় কারণ এবং শিশু মৃত্যুর চতুর্থতম প্রধান কারণ।

সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহত নিয়ন্ত্রণে 'সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প' নিয়েছে সরকার। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। সেখানে ১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে এবং বিশ্বব্যাংক দিচ্ছে ৩ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। পাইলট ভিত্তিতে দু’টি জাতীয় মহাসড়ক গাজীপুর-এলেঙ্গা ও নাটোর থেকে নবাবগঞ্জ সড়কে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দুই মহাসড়কে ৩০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা কমবে।

সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পের মধ্যে থাকছে উন্নত প্রকৌশল নকশা, প্রয়োজনীয় সড়ক চিহ্ন, পথচারী পারাপার সুবিধা, গতিরোধক, বাস বে নির্মাণ, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সড়ক প্রশস্তকরণ ও তিনটি হাসপাতাল সংস্কার।

এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছে যাওয়াসহ কল সেন্টার, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারসহ অত্যাধুনিক সব সুবিধা থাকবে এই প্রকল্পের আওতায়। আর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপদ, বিআরটিএ, বাংলাদেশ পুলিশ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২৮ সালের ৩০ জুনের মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পের কাজ শেষের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন থেকে সহজ শর্তে ঋণ ৩০ বছরের মধ্যে শোধ করতে হবে। ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ড থাকবে। সে সময়ে ঋণের কিস্তি বা আসল বা সুদ কিছুই পরিশোধ করতে হবে না।