ইবাদত-বন্দেগিতে মুখর হয়ে ওঠে তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমার ময়দান। শুরুর দিনই জুমা নামাজে অংশ নিয়েছেন লাখো মুসল্লি।
এদিন কাকরাইলের মুরব্বি মাওলানা জুবায়ের ইমামতি করেন। দেশের সবচেয়ে বড় জামায়াতে শরিক হতে পেরে আগত মুসল্লিরা খুশি।
মুসুল্লিরা বলেন, 'ইজতেমা ময়দানে জুম্মার নামাজ পড়তে পেরে আমরা নিজেদেরকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। আল্লাহ যেন এই ইজতেমার উছিলায় দেশ ও জাতিকে হেফাজতে রাখেন। প্রত্যেকটা জামাত এখানে করি। সারাদেশের কোটি মুসুল্লি একই কাতারে নামাজ পড়তেছে। এটা সবচেয়ে বড় জামাত, এখানে নামাজ পড়লে আল্লাহর রহমত নাজিল হয়।'
মুসল্লিরা বলছেন, এতবড় সমাবেশে ধর্মীয় গুরুত্বের সঙ্গে সামাজিক বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তানসহ সারাবিশ্বের ৪০টি দেশের মুসলমানরা ইজতেমায় যোগ দেন।
তারা আরও বলেন, এখানে বিশ্বের বড় বড় উলামায়ে কেরামগণ আসছে। উনাদের সাথে যারা থাকবে তারা হকের সাথেই আছে। সবাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আসছে। এটা খুব ভালো লাগছে।
মুসল্লিদের নিরাপত্তায় ওয়াচ-টাওয়ার, সাদা পোশাকে নজরদারিসহ ছিলো কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ইজতেমার শেষ পর্যন্ত কড়া নিরাপত্তা বহাল রাখার কথা জানায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম। বলেন, 'আমাদের চেকপোস্ট এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের সাদা পোশাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। এছাড়া সিসি ক্যামেরা আছে। প্রত্যেকটি জায়গায় আমাদের টহল টিম আছে। ড্রোন সার্ভিসসহ সব মিলিয়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো আছে।'
শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।