দেশে এখন
0

কৃষকের দূরদর্শিতায় বাঁচলো দেড় হাজার প্রাণ

রাজশাহীর নন্দনগাছীতে শীতের কারণে ভেঙে গিয়েছিল রেললাইন। তবে সেই রেললাইন দিয়েই দেড় হাজার যাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের। স্থানীয় এক কৃষকের সচেতনতায় বড় কোন দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যায় ট্রেনটি।

মো. আশরাফুল ইসলাম নামে সে কৃষক বলেন, 'সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে আমি গোপালগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হই। পরে না গিয়ে রেললাইনের এদিকে হাঁটছিলাম। তখন দেখি, রেলের পাত ভাঙা আছে। তখন এখানে জমিতে কাজ করছিল এমন কয়েকজন মিলে আমরা একটা বড় গামছা দিয়ে নিশানা বেঁধে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনকে থামাই।'

সকাল সাড়ে ১১ টায় এই ঘটনা ঘটে। পরে রেলপাত ভাঙার বিষয়টি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। ফলে চিলাহাটি থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা বরেন্দ্র এক্সপেস ট্রেন নন্দনগাছি স্টেশনে থামিয়ে রাখা হয়। এছাড়া ঢাকা-রাজশাহী রুটের ধূমকেতু এবং রাজশাহী-যশোর রুটের কপোতাক্ষ এক্সপেস ট্রেনকেও থামিয়ে রাখা হয়।

পরে ভাঙা অংশে বস্তা দিয়ে এবং ৪০০ মিটার দূরত্বে লাল কাপড় দিয়ে মেরামতের কাজ করেন রেলওয়ে সংস্কার কর্মীরা। এ সময় ধীরগতিতে সতর্কতা অবলম্বন করে অন্যান্য ট্রেনগুলো চলাচল করতে দেখা যায়। তবে দুপুর আড়াইটায় মেরামত কাজ চলাকালীন কোন রকম সংকেত না মেনে প্রায় ২ হাজার যাত্রীসহ লাইনচ্যুত হওয়ার ঝুঁকি নিয়েই দ্রুতগতিতে রেললাইন অতিক্রম করে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয়রা।

রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের ব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, 'প্রায় ৫০ মিনিট সাময়িকভাবে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে দুপুরে ২১ ফুট রেলপাত পরিবর্তন করার পর ট্রেন চলাচল স্বভাবিক করা হয়েছে।'

এসএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর