রবিবার (২৮ জানুয়ারি) পঞ্চগড়ে ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি দেশের ইতিহাসে ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল এই জেলায়।
শৈত্যপ্রবাহের দাপট আগামী দুই-একদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কয়েকদিন সূর্যের দেখা না মেলায় শীত জেঁকে বসেছে। বেলা বাড়লেও কুয়াশায় চারপাশ ঢাকা থাকছে। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে চালু রয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম।
দিনাজপুরেও তাপমাত্রার পারদ নেমেছে। তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই জেলায়ও দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র ঠান্ডায় খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছে ছিন্নমূল মানুষরা
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় জেলায় মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে ছুটির কথা না জানায় অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক স্কুল গেটে এসে ফিরে যান। স্কুল বন্ধ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন দূরদূরান্ত থেকে আসা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
হাড়কাঁপানো শীত, কনকনে ঠান্ডা বাতাস নাস্তানাবুদ উত্তরের আরেক জেলা ঠাকুরগাঁও। এই জেলাতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর নীলফামারীর সৈয়দপুরে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৬ ডিগ্রির ঘরে।
রংপুর বিভাগের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ দিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হলেও দিনাজপুরে কেবল মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ করা হয়েছে। এদিকে তীব্র শীতে চলাচল সীমিত হয়েছে সড়কে। দিনমজুরদের আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
বৃষ্টির মতো কুয়াশা আর তীব্র শীতে কাঁপছে বগুড়া। তাপমাত্রা যখন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তখন খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছে ছিন্নমুল মানুষ।