আগামী রোববার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আছেন ৬২ জন। এর মধ্যে ৫৮ জন আওয়ামী লীগের নেতা। তবে প্রধানমন্ত্রী সব স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য, বিশেষ করে দলীয় নেতা যারা স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের ভূমিকা কী হবে, তাঁদের পাওয়া আসনের বিপরীতে সংরক্ষিত নারী আসন কীভাবে বা কাদের বণ্টন করা হবে-এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিতে পারেন।
এবারের নির্বাচনে ২২৩টি আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। এরপর সবচেয়ে বেশি ৬২টি আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর একাদশ সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। নানা সূত্রের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টিই থাকবে।
এই ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য যদি স্বতন্ত্র জোট করে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয়, তাহলে তারা ১০টি সংরক্ষিত আসন পাবেন। আবার ছয়জন মিলে জোট করে একটি করে আসনও তারা নিতে পারেন বা সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী কোনো দলের সঙ্গেও জোট করতে পারেন।
সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়ে অবস্থান জানতে চেয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী, সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশিত হওয়ার ২১ কার্যদিবসের (৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে জোট গঠনের বিষয়টি জানাতে হবে। এ সময়ের মধ্যে কোনো স্বতন্ত্র সদস্য কোনো জোটে না গেলে তাঁদের নিয়ে আলাদা স্বতন্ত্র জোট গঠন করা হয়েছে বলে গণ্য হবে।