দেশে এখন
0

যাত্রীচাপে কার্ড পাঞ্চ ছাড়াই মেট্রো প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ

দিন-রাত উত্তরা-মতিঝিল পূর্ণ যাত্রার প্রথম কর্মদিবসে ঢল নামে যাত্রীদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে মতিঝিলসহ শেষ দিকের স্টেশনগুলোতে কখনো কখনো স্বয়ংক্রিয় ভাড়া আদায়ের মেশিনে কার্ড পাঞ্চ ছাড়াই যাত্রীদের প্রবেশ করতে দিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। টিকিট কাটতে প্রায়ই মেশিনের ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।

নগরবাসীকে পূর্ণমাত্রায় সেবা দেবার প্রথম কার্যদিবসেই এমন পরিস্থিতি শহরের প্রথম মেট্রোর মতিঝিল স্টেশনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বয়ংক্রিয় ভাড়া আদায়ের গেটে পাঞ্চ ছাড়াই প্রবেশ করার ঘোষণা দিতে দেখা যায় দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের।

যদিও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'সবাইকে লাইনে আসার ঘোষণা দিয়েছি।'

বারে বারে স্বয়ংক্রিয় এএফসি গেট বিকল হওয়া, ভিড় ভাট্টা, ঠেলাঠেলি পেড়িয়ে প্লাটফর্মের দিকে ছোটা মানুষের ছিলো একগুচ্ছ অনুযোগ-অভিযোগ; নিজেদের প্রতি, মেট্রো কর্তৃপক্ষের প্রতি।

যাত্রীরা বলেন, 'আমাদের শক্তিপ্রয়োগ করে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার চিরায়ত অভ্যাস থেকে বেরোতে পারিনি। যদি নিয়ম মানতে পারতাম তাহলে কার্ড পাঞ্চ করে আসতে পারতাম।'

যাদের স্থায়ী এমআরটি বা র‌্যাপিড পাস কেনা ছিলো তারা কোনমতে প্লাটফর্মে ঢোকার প্রতিযোগিতায় ঢুকতে পারলেও, দীর্ঘ অপেক্ষা আছে যাদের কার্ড নেই তাদের। এরমধ্যে নতুন এসেছেন এমন অনেকেই জানেন না, কী করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টিকেট কিনতে হয়। তাদের অনুযোগ, স্বয়ংক্রিয় মেশিনের কাছে ভলেন্টিয়ারও নেই। যার কারণে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হচ্ছে।

টিকিটের অপেক্ষায় থাকা আরেক যাত্রী বলেন, 'ভেবেছিলাম মেট্রোতে যেতে ৩০ মিনিট লাগবে, কিন্তু টিকিটের লাইনেই প্রায় দেড় ঘণ্টা শেষ হয় গেলো। এরপরেও টিকিট কখন পাবো তার নিশ্চয়তা নেই।

প্রথম দিনের এই চাপ সামলানোর ব্যাপারে স্টেশনগুলোতে মেট্রো কর্তৃপক্ষের বাড়তি কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা এড়িয়ে যান। তিনি বলেন,'কোন সমস্যা নেই, শুধুমাত্র যাত্রীর চাপ বেশি।'

এদিকে উত্তরা থেকে মতিঝিল সকাল-সন্ধ্যা পূর্ণ যাত্রার প্রথম কার্যদিবসের সকালেও অফিসগামী যাত্রীদের ছিল ভিড়। অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ি ছেড়ে দীর্ঘ অভ্যাস বদলিয়ে আজ থেকে মেট্রোরেলের যাত্রী হয়েছেন।

স্টেশনে ঢোকা থেকে শুরু করে স্বয়ংক্রিয় দরজা পার হবার সাথে প্ল্যাটফর্মের চিত্রের বিস্তর তফাত। প্ল্যাটফর্মে ট্রেনগুলো আসছে আর যাত্রীরা ঝামেলাবিহীনভাবেই উঠে যাচ্ছেন তাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।

ভোগান্তি এড়াতে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ সাধারণ যাত্রীদের এমআরটি পাস কিংবা র‌্যাপিড পাস সংগ্রহের পরামর্শ দিচ্ছে।