স্থানীয়রা বলেন, 'গ্যাস নাই তাই একবেলা খাইলে দুইবেলা খাইতে পারি না। সবার রান্না করতে কষ্ট হচ্ছে। না খেয়ে অফিসে যেতে হয়, এই কষ্ট বলার মতো না।'
গ্যাসের চাপ কম থাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোর সামনে। গ্যাস না পাওয়ায় গণপরিবহন ও অন্যান্য যান চলাচল কমেছে।
চালকরা বলেন, 'কোন পাম্পেই আমরা গ্যাস পাইনি। গাড়ি রাস্তায় ফেলে রেখেছি।’
যাত্রীরা বলেন, গ্যাসের জন্য আমাদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। ভাড়াও বেশি দিতে হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মহেশখালিতে ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশনের কাজে নিয়োজিত বিশেষায়িত জাহাজ নষ্ট হওয়ায় সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে। সংকট থেকে মুক্তি পেতে আরও মাসখানেক সময় লাগতে পারে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, 'আমাদের একমাস কিছুটা সমস্যা হতে পারে। আগেও বলেছি আমাদের গ্যাসের সমস্যা সাময়িক। আর নতুন যে গ্যাস পেয়েছি এগুলো সিস্টেমে আসতে আরও একটা বছর সময় লাগবে।’
চট্টগ্রামে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এর বিপরীতে ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট মিললেও এখন সংকটের কারণে তা নেমে এসেছে ২৫০ থেকে ২৮০ মিলিয়ন ঘনফুটে।