দেশে এখন
0

ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির ফ্ল্যাগশিপ গেটওয়ে বাংলাদেশ। তাই নতুন প্রজন্মের অংশীদারিত্ব চুক্তি করতে আগ্রহী ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে শুভেচ্ছা জানাতে এসে একথা জানান ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।

১৯৭২-৭৩ সালে বাংলাদেশের জিডিপির আকার ছিল ৮ বিলিয়ন ডলার, ২০২২-২৩ সালে যা ৪৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। যা বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে করে তুলেছে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

এই অর্থনীতিতে বড় অবদান ইউরোপের। যে বিশাল বাজারে বাংলাদেশ পায় ইবিএ অর্থাৎ এভ্রিথিং বাট আর্মস সুবিধা। যেখানে সব রপ্তানিযোগ্য পণ্যে নির্ধারিত ১২ শতাংশ শুল্ক দিতে হয় না। তবে এই সুবিধা বাংলাদেশ পাবে ২০২৯ সাল পর্যন্ত। এসডিজি অর্জন হলে ইবিএ চুক্তি থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশকে বাধ্যতামূলকভাবে ঢুকতে হবে স্ট্যান্ডার্ড জিএসপি সুবিধার আওতায়। যদিও বাংলাদেশের দাবি জিএসপি প্লাস সুবিধা।

বর্তমানে ইউরোপে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয় তাদের চাহিদার ৮০ শতাংশ। যার আকার ২ হাজার ৩৫৩ কোটি ডলারের। বছরে এই চাহিদা বাড়ছে গড়ে ৩ শতাংশ হারে। কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতায় ইউরোপের বাজারে সম্ভাবনার ৪০ শতাংশ সুযোগ কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ।

এ অবস্থায় বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি জানান, ঢাকার সঙ্গে নতুন প্রজন্মের অংশীদারিত্ব চুক্তি করতে আগ্রহী ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের সাথে ইইউ নতুন অংশীদারিত্ব সহযোগিতামূলক চুক্তি করতে আগ্রহী। নতুন প্রজন্মেও এই চুক্তি দুই দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়ন প্রকল্পে যোগ করবে নতুন মাত্রা। এর আওতায় প্রায় সব ক্ষেত্রেই যুক্ত হবে। যেখানে ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার রুপরেখা থাকবে।'

 নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও উন্নয়ন প্রকল্পে বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্ব বাড়ানোর ব্যাপারেও আশ্বাস দেন ইইউ রাষ্ট্রদূত।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির ফ্ল্যাগশিপ গেটওয়ে। যার সম্ভাবনা অনেক। আমরা চাই নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে একসাথে কাজ করতে।

এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে। বাণিজ্য সম্প্রসারণ, জলবায়ু মোকাবিলা ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একসাথে কাজ করবে বলে এসময় জানান তিনি।

পিটার হাস বলেন, 'বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক জোরদারে দুই দেশ কাজ করতে আগ্রহী। আগামীতে বাণিজ্য সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলো, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে।'

নির্বাচন ইস্যু নিয়ে তাদের দেয়া পর্যালোচনায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত কিছু না বললেও ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতা হলে টেকসই উন্নয়নের পথে অনেকদূর এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।