দেশে এখন
0

ঘন কুয়াশায় বাধাগ্রস্ত বিমান ওঠানামা, চালু হয়নি আধুনিক ল্যান্ডিং সিস্টেম

কুয়াশার চাদরে মোড়ানো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কয়েক হাত দূরের রানওয়েও দেখা যাচ্ছে না।

তাপমাত্রার পারদ যতো নামছে ততো আকাশপথের ভোগান্তি বাড়ছে। এতে করে দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

শীত আসলেই এই বিমানবন্দরের নিত্যদিনের ঘটনা এটি। ঘন কুয়াশায় অবতরণ করতে না পারা উড়োজাহাজগুলোকে মিয়ানমার কিংবা ভারতের কোন এক বিমানবন্দরে গিয়ে নামতে হয়। উড্ডয়নের জন্য সিগন্যালের অপেক্ষায় থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা, তাতেই শিডিউল বিপর্যয় দেখা দেয়।

ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের (জনসংযোগ) মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে। এতে করে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে, আর যাত্রীরাও সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি শফিউল আজিম বলেন, ‘ফ্লাইট বিলম্ব হলে বিশাল আর্থিক ক্ষতি হয়। শুধু তাই নয়, সুনামেরও ক্ষতি হয়। আর যাত্রীদেরকে সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারছি না।’

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ছবি: এখন টিভি

বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস) ক্যাটাগরি-১। যার জন্য ভিজিবিলিটি প্রয়োজন হয় কমপক্ষে ১০০০ মিটার বা এক কিলোমিটার। গত বছরের জানুয়ারিতে ৩ মাসের মধ্যে আইএলএস ক্যাটাগরি ২ এ উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছিল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক)। তাতে ভিজিবিলিটি থাকার শর্ত কমে আসতো কমপক্ষে ৩৫০ মিটারের মধ্যে, কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও তার কোন অগ্রগতি হয়নি।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, আইএলএস-২ এর জন্য রানওয়েতে লাইট বসানোসহ ইলেকট্রিক সিস্টেমের সব কাজ শেষ হয়েছে। তবে কন্ট্রোল প্যানেলটি বসানো হয়নি। থার্ড টার্মিনালের সঙ্গে চলতি বছরের শেষার্ধে আইএলএস ক্যাটাগরি-২ এ উন্নীত হবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ উইং কমান্ডার (অব.) নজরুল ইসলাম বলেন, আইএলএস ক্যাটাগরির উন্নতি না হওয়া দেশের অ্যাভিয়েশন খাতের জন্য বড় বাধা। স্লট ম্যানেজমেন্ট করে এই সমস্যার আপাতত সমাধানের পরামর্শ দেন তিনি।