উত্তরের জেলা রাজশাহীতে প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে। কনকনে ঠান্ডা বাতাসে বেড়েছে শীতের মাত্রা। এতে নানান শ্রেণি পেশার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
নগরীর শহীদ কামারুজ্জামান চত্বরে ভোর থেকেই রিকশা ও অটোরিকশা নিয়ে যাত্রীদের অপেক্ষায় চালকরা। তবে যাত্রীর দেখা মিলছে না। এছাড়া কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হয়েও অনেক দিনমজুর কাজ পাচ্ছেন না। তাই তাদের আয়েও পড়ছে শীতের বিরূপ প্রভাব। শীতে কিছুটা উষ্ণতা খুঁজতে অনেকে চায়ের দোকানে ভিড় করছেন ।
স্থানীয়রা বলেন, ‘সকাল বেলায় কাজে বাইর হইতে কষ্ট হইতেছে। খুব ঠান্ডা লাগে। চলাফেরায় অনেক অসুবিধা। কাজ না করলেও হবে না।’
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস বলছে, সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৪ শতাংশ। তবে দুপুর নাগাদ সূর্যের দেখা মিলতে পারে।
হিমালয় ঘেঁষা পঞ্চগড়েও পৌষের দাপট চলছে। গত ৪ দিন ধরে এ জনপদে সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশা আর উত্তরে ঠান্ডা বাতাসে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। কষ্টে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠান্ডা বাতাসে শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেককে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজতে দেখা যায়।
ঠান্ডায় উষ্ণতার জন্য আগুন পোহাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা মেহেরপুরে গত কয়েকদিন থেকেই জেঁকে বসেছে শীত। তীব্র ঠান্ডায় ও ঘন কুয়াশা বিপর্যস্ত করে তুলেছে জনজীবন। বেলা বাড়লেও শীতের তীব্রতা কমছে না।
সকালে মেহেরপুরে চলিত মৌসুমে সর্বনিম্ন ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এমন বিরূপ আবহাওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। শীতের কারণে রাস্তাঘাটে যান চলাচল স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা কম। ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে।
শ্রমজীবী ও শিক্ষার্থীরা বলেন, 'প্রচুর ঠান্ডা পড়ছে। এতো শীতে কলেজে যাওয়ার কোন উপায় নেই। ঠান্ডার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য করা যাচ্ছে না।'
এদিকে জেলায় শীতজনিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। নিউমোনিয়া, ঠান্ডা কাশি ও জ্বরের হাত থেকে রক্ষা পেতে শিশু ও বয়স্কদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।