দেশে এখন
0

ফজলুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল

সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিল্পপতি ফজলুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল হয়েছে। আসগর আলী হাসপাতাল এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব হাসপাতালের সব চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারী এ মাহফিলে অংশ নেন।

দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, আসগর আলী হাসপাতালের সিইও প্রফেসর ডা. জাবরুল এস এম হক, হেড অব অপারেশন মোরশেদ আহমেদ চৌধুরী এবং সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এ বি এম সারওয়ার-ই-আলম।

সিইও ডা. জাবরুল এস এম হক সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যানের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমাদের এমন অভিভাবকের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। সবাই তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তার সব গুনাহ ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতবাসী করেন।

হাসপাতালটির হেড অব অপারেশন মোরশেদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, চেয়ারম্যান মহোদয় সবসময় হাসিমুখে হাত বাড়িয়ে দিতেন। সব প্রজেক্টের সমানভাবে খোঁজ রাখতেন। এতো প্রজেক্টের মাঝেও তিনি হাসপাতালের জন্য অনেক চিন্তা করতেন। কোন চিকিৎসকের কোনে সমস্যা হচ্ছে কিনা খোঁজ নিতেন। তিনি আমাদের প্রতি অনেক খুশি ছিলেন এই ভেবে যে হাসপাতাল ভালো চলছে। প্রফিট দিতে না পারার জন্য তার কোন কষ্ট ছিল না।

সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এ বি এম সারওয়ার-ই-আলম বলেন, চেয়ারম্যান মহোদয়ের ভেতরে কোন অহংকার ছিল না। তিনি সবসময় নিরহংকারী ও বিনয়ী মানুষ ছিলেন।

এর আগে ২৫ ডিসেম্বর সোমবার ভোর ৪টার দিকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে বিশিষ্ট এই শিল্পপতির মৃত্যু হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। ২৪ ডিসেম্বর রোববার রাতে অসুস্থ বোধ করলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ফজলুর রহমানের হাত ধরে সরিষার তেল উৎপাদনের মধ্য দিয়ে সিটি গ্রুপের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম উদ্যোগ সফল হওয়ার পর সিটি গ্রুপ নতুন নতুন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ শুরু করে।

নব্বই দশকে আরও প্রকল্প এবং উদ্যোগ নেয় সিটি গ্রুপ। বর্তমানে শিল্পগোষ্ঠীটির অধীনে রয়েছে ৪০টির অধিক প্রতিষ্ঠান। যেখানে ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। অভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি সিটি গ্রুপের ময়দা ও তেলসহ নানান পণ্য যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, মালয়েশিয়া, ভারত, কম্বোডিয়া ও নেপালে যাচ্ছে।