উৎসব নির্বিঘ্ন করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বড়দিনের শুরুতে বিশেষ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতার শুরু হয় চট্টগ্রামের রানী জপমালার গির্জায়। প্রার্থনায় অংশ নেন সব বয়সী মানুষ। গির্জায় স্থাপিত গোশালায় ফুটিয়ে তোলা হয় যিশুর জন্মের মুহূর্ত।
গির্জার ফাদার রিগ্যান ক্লেমেন ডি কস্তা বলেন, 'বড়দিন শুধু আমাদের ধর্মের জন্য নয়, জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এ আনন্দ সবার সঙ্গে যেন ভাগ করে নিতে পারি।'
যিশুভক্তরা বলেন, সবাই মিলে আমরা এই উৎসব উদযাপন করতে পারছি এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া।
সিলেটের প্রেস বিটারিয়ান চার্চেও দেশ ও মানুষের মঙ্গল কামনায় চলে বিশেষ প্রার্থনা। উৎসবের এই আয়োজনে চার্চে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
দিনটি উপলক্ষে ময়মনসিংহের ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশ সাধু প্যাট্রিকের ক্যাথেড্রাল গির্জায় জড়ো হতে থাকেন ভক্তরা। এই উপসনালয়ে যোগ দেন বিদেশি নাগরিকরাও।
ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল সিএসসি বিশপ পনেন পৌল কুবি বলেন, ‘আমরা আজকে প্রার্থনা করেছি বিশ্ব মানবের শান্তি ও একতার জন্য।’
বরিশালের গোশালা স্থাপনসহ নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে গির্জা। সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় করা হয় প্রার্থনা।
রাজশাহীতে গির্জায় গির্জায় মোমবাতি প্রজ্জলন ও বাইবেল পাঠের মধ্য দিয়ে বড়দিন উদযাপন করেন খ্রীস্ট ধর্মবলম্বীরা। কুশল বিনিময় ও কেক কেটে উৎসব করা হয়।
বগুড়ায় মিশন চ্যাপেল ও চার্চেচ অব গড-এ উদযাপন করা হয় বড়দিন। চার্চগুলোতে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নানা কর্মসূচি উদযাপনের কথা জানান ধর্মীয় নেতারা।