ধর্ম
দেশে এখন
0

বড়দিনের উৎসবে মেতেছেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা

যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসবমুখর পরিবেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন উদযাপন চলছে।

ধর্মীয় আচার ও আনন্দ–উৎসবের মাধ্যমে দিনটি পালন করা হচ্ছে। গির্জায় গির্জায় প্রার্থনায় কামনা করা হয় বিশ্ব শান্তি। উপাসনালয়ে বর্ণিল আলোকসজ্জার পাশাপাশি ক্রিসমাস ট্রি ও প্রতীকী গোশালা উৎসবকে করেছে রঙ্গিন।

দুই হাজার বছর আগে ছোট্ট গোশালায় মা মেরির কোল আলো করে পৃথিবীতে আসেন যিশু খ্রিস্ট। অন্ধকারকে পেছনে ফেলে, সত্য এবং মানবতা প্রতিষ্ঠায় যিনি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন গোটা বিশ্বকে। শত্রুর নির্মমতাও তিনি গ্রহণ করেছেন ভালোবাসা দিয়ে। তাই তার জন্মদিন উৎসবের উপলক্ষ খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছে। যা পালিত হয় স্বমহিমায় বড়দিন হিসেবে।

ভোরের আলো ফুঁটতেই পৌষের শীত উপেক্ষা করে খ্রিস্ট অনুসারীরা সম্প্রীতির চাদর জড়িয়ে আসতে থাকেন গির্জায়। রাজধানীর তেঁজগাওয়ে পবিত্র জপমালা রাণীর গির্জায় তৈরি হয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশ। সকাল ৭ টা ও ৯টায় অনুষ্ঠিত হয় বড়দিনের মূল প্রার্থনা খ্রিষ্টযাগ।

হাজারো ভক্তের সামনে যাজক প্রবাস রোজারিও পাঠ করেন ঐশী বাণী। আর তুলে ধরেন খ্রিস্টের জন্মকথা।

এরপর বেথেলহেমে যিশুর জন্মস্থানের আদলে তৈরি গোশালা ও মূল বেদিতে ধূপ আরতি, সম্মিলিত সংগীত, সার্বজনীন প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।

যিশুভক্তের মনে এ দিনটি পাপ মোচন আর হৃদ্যতার। তারা বলেন, 'আমরা সারাবছর অপেক্ষায় থাকি এই দিনটির জন্য। সবাই মিলে বড়দিন পালন করি। যিশু খ্রিস্টের আদর্শ নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করি, এটাই হচ্ছে আমাদের বড়দিন।'

এক শিশুভক্ত বলে, ‘আমরা এই দিনটায় গির্জায় যাবো, ঘুরতে যাবো ও কেক কাটবো।’

খ্রিস্টযাগ ও ভক্তদের আশীর্বাদ প্রসাদ গ্রহণ শেষে বাংলাদেশে খ্রিস্টধর্মের প্রধান আর্চ বিশপ বিজয় এনডি ক্রুশ বলেন, 'ফিলিস্তিনে যুদ্ধের কারণে অনেক মানুষ মারা গিয়েছেন। সেখানে রক্তের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। আমরা সকল রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে অনুরোধ করছি, তারা যেন উদ্যোগ নিয়ে এই যুদ্ধ বন্ধ করেন।'

বাড়ি ফিরেও যিশুভক্তরা মেতে থাকবেন উল্লাস আনন্দে। যিশুর জন্মদিনের কেক কাটা, নানারকম পিঠাপুলির পারিবারিক আয়োজন, আত্মীয়ের সাক্ষাৎ, দিনভর ঘোরাঘুরি। সন্ধ্যায় গির্জায় থাকছে তারকা আর যিংগেল বলে সাজানো ক্রিসমাচ ট্রি আর বর্ণিল আলোকসজ্জা।

এমএসএ

আরও পড়ুন:

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর