বেলা ১২ টায় সভাস্থলে প্রধানমন্ত্রীকে গানে গানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এসময় গানে গলা মেলান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সাথে তাল মেলান শেখ রেহানাও।
স্বাগত পর্ব শেষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের আর্চ বিশপের বক্তব্যের পরই বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে তাঁর সরকারের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, 'এদেশের মাটি সব ধর্মের। উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ধর্ম ব্যবহার করা বরদাস্ত করা হবে না। ধর্ম যার যার উৎসব সবার।' আরও বলেন, 'খ্রিস্টান ধর্মীয় ট্রাস্টের ট্রাস্টিরা তাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে খুলনায় অনেকগুলো ঘর তৈরি করে দিয়েছেন।'
এসময় নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা নিয়েও কথা বলেন সরকারপ্রধান। বলেন, 'নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে যারা নির্বাচন বন্ধ করতে চায় আর যারা হুকুম দেয় তাদের ধিক্কার জানাই।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের দেশের কিছু মানুষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সফলের জন্য অগ্নি সংযোগ করে মানুষ হত্যা করে। বাসে, ট্রেনে আগুন এ ধরণের করুন দৃশ্য আমরা দেখতে চাই না। মানুষের ক্ষতি করে তারা কি এমন উদ্দেশ্য হাসিল করছে সেইটা তাদের কাছে প্রশ্ন।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে ধর্ম ব্যবহার যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, 'যীশু খ্রিষ্ট আমাদের মানবতার কথা শিখিয়েছেন। আমাদের নবীও আমাদের মানবতার কথা শিখিয়েছেন। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেটাই মানতেন। এখানে কেউ বঞ্চিত থাকবে না। সব মানুষের অধিকার পূর্ণ করা মানে একটি সুন্দর সমাজ ব্যবস্থ গড়ে তোলা। যে সমাজ হবে অসাম্প্রদায়িক চেতনার সমাজ।'
বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেক কেটে বড়দিনের আনুষ্ঠানিক উদযাপনের সূচনা করেন।